রাজশাহী প্রতিনিধি:
বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে দোকানপাটে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও মারধরের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টায় নগরীর কাদিরগঞ্জ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়,
আমি মোসা: শামসুন নাহার রুনা। সাং- ডাসপুকুর, থানা- রাজপাড়া, রাজশাহী। আমার ছোট একটি মুদিখানা দোকান যার ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার ০১/বি-২৭৬১। গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আমার দোকানে দুইজন হামলা চালিয়ে আমার ছোট ছেলে মৃদুল হাসান অন্তরকে মারধর করে, ৫০ হাজার টাকা লুট করে এবং আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতি করে। এঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
আমার দোকানে হামলা চালায় আমার নিজের ভাই রোকনুজ্জামান রোকন (৪৪) এবং তার সাথে ছিলো মামুন (৫০)। ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে ১১ বছর আগে, ৫ভাই বোনদের মধ্যে আমার বাবা মা আমাদের দুই বোনকে ১২ছটাক করে স্থানীয় এলাকায় একটি জমি লিখে দেয়। শত্রুতার শুরু তখন থেকেই। আমার জীবিত বাবা-মার নামে এখনো ৩ কাঠা জমি আছে যা আমার ৩ ভাই পাবে।
তবে, সেই জমি দ্রুত লিখে নেওয়া এবং আমাদের দেওয়া জমি থেকে ১১লক্ষ টাকা দাবী করে আমার ভাই রোকন। আমরা দুই বোন অযৌক্তিক সেই দাবী মেনে না নিলে আমার ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহে সে আমাদের উপর হাত তুলে। শুধু ভাই বলে আমরা এতদিন চুপ ছিলাম কিন্তু সে এতটাই নিচে নেমে গেছে যে নেশার টাকা যোগার করার জন্য সে আমার দোকানে এসে চাদা দাবী করে। চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে দোকানে ভাঙচুর করে মালামাল ক্ষতি করে, ৫০হাজার টাকা নিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।
আমার ভাই রোকনুজ্জামান রোকন সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সে বিএনপির কোনো পদে না থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় মহানগর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে থাকার পরিচয় দেয়। আমরা খোজ নিয়ে জেনেছি মহানগর বিএনপির এখন কোনো পূর্ণঙ্গ কমিটি নেই। আহ্বায়ক কমিটি থাকার পরেও সে নিজেই তার মনগড়া পদ বানিয়ে চাদাবাজী করে এবং ক্ষমতার দাপট দেখায়।
নিজের ভাইয়ের চাদাবাজী, প্রাননাশের হুমকি, দোকানে হামলার ঘটনার পরে আমি নিরুপায় হয়ে আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমার স্বামী ও দুই ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে আমি সংকিত। যে কোনো সময় তারা আমার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমি চাই থানা আমার করা অভিযোগটি মামলায় রূপ দিয়ে দোষীদের দ্রুত আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করুক।
সাংবাদিকবৃন্দ আপনারা জাতির দর্পন, আপনারা সত্যটি উদঘাটন করে এই সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সহযোগীতা করবেন।