রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তেরখাদিয়া কাঁচা বাজারে দাবি করা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় কুরুল ওরফে শুভ (৩২) নেতৃত্বে মিঠু নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।সেই সাথে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানিক মন্ডলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর বিরুদ্ধেই ২ টি মামলা করেছে অভিযুক্তরা।আহত মিঠু নগরীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া হায়দার আলীর ছেলে।
কাচাবাঁজারে একজন ব্যবসায়ীকে এমন নৃশংসভাবে হামলার ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে উদ্বেগ-
উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় মহানগরীর
তেরখাদিয়া কাঁচা বাজারে রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য কুরুল ওরফে শুভর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়ে।
ব্যবসায়ীরা বলেন,৫ আগস্টের পরই বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দোসর দাবি করে দুটি মামলা করেন শুভ।তবে মামলার বাদী করেন অপরিচিত ব্যক্তিকে।মানিক মন্ডল বাজার ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রেখেছেন ২০ বছর ধরে। তিনি ২০ টাকা করে উত্তোলন করেন। ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েও ৩০ টাকা করে দেন।এই ৩০ টাকা কেন নেন কোনে মানিক মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বাজার পরিষ্কার রাখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী,বিদ্যুৎ বিল,সিসিটিভি ক্যামেরা,নাইট গার্ড খরচ হিসেবে ব্যয় করা হয়।
মানিক মন্ডল বলেন,শুক্রবার সকালে কুরুল ওরফে শুভ,আসিফ ওরফে বোঁচা আসিফ,জুয়েলসহ ৮/১০ জন হঠাৎ করেই এসে ব্যবসায়ীদের চাঁদার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা বলে,মানিককে কোন চাঁদা না দিতে। এখন থেকে তাঁদেরকে চাঁদা দিতে হবে। তাঁরা বিএনপি নেতাকর্মী বলে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে।
যদি বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাকে না চায় আমি থাকব না। কিন্তু আমি বাজারটিকে আগলে রেখেছি। একসময় ৩ থেকে ৪ টি দোকান ছিল। আজ বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন আমাকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ লাগিয়ে আমাকে সরাতে চাইছে। এমনকি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। সেই সাথে হুমকি দিয়েছেন।
এসম্পর্কে অভিযুক্ত কুরুল ওরফে শুভ বলেন,বাজার কমিটি বিষয়ে পূর্বে এক সমস্যা ছিল। সেটাই আমি একা গিয়ে মানিক মন্ডল চাচাকে মিটিয়ে নেয়ার কথা বলেছিলাম। সেখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তবে,বাজারটি চাচা নিজে এতদিন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। আমরা চাই সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত না হোক। এজন্য তাঁরা যেন সিটি করপোরেশনের সাথে বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করে ডাক, নিলাম বা ইজারা দেয়। এছাড়া চাচার নামে কোন মামলাও করিনি। তিনি ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছেন।
জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি
আশরাফুল আলম বলেন,এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।