কবিতাঃ বিবর্তিত সময়
কলমেঃ নাজমুন নাহার শ্রাবণী:
সুসময়ের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রদর্শন
আজ বদলে গেছে।
পূর্বের গুণবাচক বিশেষণগুলোর জায়গা
দখল করেছে কদর্য শব্দমালা।
যুক্তিগুলো অনৈতিক আঁধারে নতুন করে অঙ্কুরিত হয়েছে।
সেখানে অতীতেরা ম্রিয়মান, মূল্যহীন।।
স্বার্থের পৃথিবীতে মিথ্যেরা দাপিয়ে বেড়ায়
সগৌরবে মাথা উঁচু করে।
বিনয়, ক্ষমা, সততা চক্রান্তের বেড়াজালে
ভীষণভাবে বন্দী।
মিথ্যের দাপাদাপিতে সত্য নিগৃহীত, নিপীড়িত
কোনো দ্বিধা নেই।।
সুসময়ের সারথীরা নির্বাক, নিশ্চুপ, বৈরী
যেনো কিছুই হয়নি।
নির্মমতা, অমানবিকতার গহ্বরে নিপতিত
বিবেক বর্জিত হয়ে।
সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয়ে অপারগতা
তৈরি করে নিয়েছে।
মৌনতার অস্ত্রে তারা মিথ্যেকে প্রশ্রয় দেয়
সাবলীল ভাবে।
সত্যিটা জেনেও মিথ্যার প্রতাপে হয়তো
দিশেহারা আজ।
নয়তো ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ সংহত রাখার প্রয়াসে
ব্যস্ততা অবিরাম।।
মিথ্যের পক্ষে যুক্তির বাহারি জৌলুস
আমাকে বিস্মিত, হতভম্ব করে।
অশ্রুসিক্ত করে, পীড়িত, লাঞ্ছিত করে
কুঁকড়ে যাই বিবর্তনে।।
কতো অচেনা লাগে খুব চেনা বিশ্বকে
খুব কাছের মানুষগুলোকে।।
মানুষ আপাত স্বার্থরক্ষায় নিজেকে জড়ায়
অনৈতিক আবরণে।
সুবিধাজনক স্থান তৈরির প্রয়াসে হীন প্রচেষ্টা
আপাত বিজয় লাভ করে।।
সময়ের বিবর্তনে আবার সত্য ভাস্বর হয়ে উঠে
হয়তো একটু দেরিতে।।