এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রাম লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্টার্ড নম্বর চট্ট-২০৯০, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন রেজিস্টার্ড নম্বর বি- ২১৪৮, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন রেজিস্টার্ড নম্বর- ২১৪৩-এর যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও জরুরী সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই অধিবেশনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ঠ শ্রমিক নেতা সবুজ সিকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক নেতা আজগর হোসেন তালুকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান মাষ্টার, আবু তাহের মাষ্টার, জাকের হোসেন চুন্নু, ইন্জিনিয়ার নাছির উদ্দীন, মো. নুরুল হোসেন, আকতার জামান মাষ্টার, জাহাঙ্গীর আলম ড্রাইভার, হাসান বাদশা, বাসুদেব শীল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আবু তাহের,খলিল সিকদার, রেজাউল করিম সেলিম, নুরুল আলম মাষ্টার, হেলাল মৃধা, টাইগার বেলাল, জাফর সুকানি, বেলাল শেখ, রাজু সুকানি, সাদ্দাম সুকানি, রবিউল আলম রবি, আলী সুকানি, মেহেদী মাষ্টার প্রমূখঃ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবুজ সিকদার বলেন, নৌ-যান শ্রমিক-কর্মচারি, লাইটারেজ শ্রমিক ও জাহাজী শ্রমিকরা তাদের পরিবারের জিবন-জিবীকার তাগিদে প্রাকৃতিক সকল প্রতিকূলতাকে সাগরে ভাসমান জিবনের নিত্য সাথী করে জাহাজ, লাইটারেজ সহ বিভিন্ন নৌ-যানের মালিকদের বানিজ্যকে চালু রেখেছে। ইসলামে শ্রমিকদের অধিকারের কথা সুস্পষ্ঠভাবে তাগিদ দিলেও মালিকরা তাদের বাহনের শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ সহ মৌলিক মানবাধিকার নিয়ে তামাশা করতে কুণ্ঠাবোধ করতে দ্বিধা করেনা, যা অত্যন্ত অমানবিক। জাহাজ ও নৌ-যান সংশ্লিষ্ঠ সকল শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যায্য পাওনা আদায়ে তিনি সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
প্রধান বক্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের তাদের অধিকার আদায়ে আরো সুসংগঠিত হয়ে সংগঠনকে মজুবুত করতে হবে, পাশাপাশি শ্রমিকদেরকে মালিক পক্ষের হয়রানী রোধে শ্রম আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, প্রয়োজনে সে ব্যাপারে সংগঠনের উদ্যোগে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে আজগর হোসেন তালুকদার নৌ-যান ও জাহাজী শ্রমিক সংগঠনগুলো কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করেনা স্পষ্ট জানিয়ে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেন ও সড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, তাদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারন করেন।
দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর সংগঠনগুলোর অনেক শ্রমিক নেতা সংগঠন থেকে পদত্যাগ করায় জরুরী সাংগঠনিক সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং সাধারন শ্রমিকদের মতামতের ভিত্তিতে সাংগঠনিক কমিটিগুলোর শূন্য পদগুলো অস্থায়ী ভিত্তিতে পুরন করা হয়।
সভায় উপস্থিত শ্রমিকরা তাদেরকে মালিক পক্ষের হয়রানী নিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে তাদের দুঃখ-দুর্দাশার কথা তোলে ধরেন এবং তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগীতা কামনা করেন। মিলাদ, তাবারুক বিতরন ও মুনাজাতের মাধ্যমে সভা শেষ হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহামদুলিল্লাহ ট্রাভেল এজেন্সির পরিচালক মাওলানা হাফেজ আহমদ শফি ম:জি:আ:।