আন্তঃনগর বুড়িমাড়ি ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সোনাতলায় ছাত্র জনতার অবস্থান
দেশের মানউন্নত ট্রেন গুলোর মধ্যে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস একটি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনটি হুইসেল বাজিয়ে ধুলা উড়িয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলে সোনাতলার বুক চিরে। তবে স্থানীয়রা শুধুই চেয়ে দেখে ট্রেন চলে গেল।
এদিকে বুড়িমারী ট্রেনটি থামানোর উদ্দ্যোগ নেন দেশ গড়ার কারিগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা শুরু করেন প্রচার প্রচারণা। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পুরন হলো।গতকাল আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও বুড়িমারী ট্রেনটি বগুড়ার সোনাতলা রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে দাড়ালো।
যদিও ৪টার দিকে প্রবেশ সময় থাকলেও কয়েক ঘণ্টা বিলম্বে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোনাতলা স্টেশনে এসে দাঁড়ায়।সে সময়ে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ ট্রেনটি থামতেই আনন্দ উল্লাসে আত্মহারা হয়ে পড়ে।ট্রেনটি স্থায়ীভাবে থামানোর দাবিতে সে সময়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয় ষ্টেশন এলাকা।
এ কর্মসূচিতে উপজেলার দুর দুরান্তের ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় আপামর জনসাধারণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যগন জানান,এই ট্রেনটি সোনাতলা স্টেশনে যাত্রাবিরতি না দেওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা বিশেষভাবে সমস্যায় পড়ছেন। যেমন স্বল্প খরচে ঢাকা যেতে পারবে,সরকার আর্থিক ভাবে লাভবান হবে,যাত্রা বিরতির কারণে আশপাশের দোকানে বেচাকেনা ভালো হবে এতে এলাকার যেমন আর্থিক উন্নতি ঘটবে সেই সাথে সরকারো আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।
এছাড়াও আরো বেশকিছু উপযুক্ত দাবি তুলে ধরে একটি আবেদন দেয়া হয়। সোনাতলার দায়িত্বরত সহকারী রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার আব্দুল মাজেদ জানান,আন্দোলনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছিলাম। তবে ১ঘন্টা বিলম্বে আন্তঃনগর বুড়িমাড়ি ট্রেনটি এলে আন্দোলনরতরা দাঁড়িয়ে দেয়।