বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সোনাতলায় সাতটি স্থানে বসবে কুরবানীর পশুর হাট। ঈদকে সামনে বাড়ি বাড়ি থেকে পাইকাররা কিনছে কুরবানীর গরু।
তবে অনেকেই জানিয়েছেন কুরবানীর গরু,ছাগল সরাসরি গ্ৰামের লোকজনের বাড়ি থেকে কেনার চেয়ে হাটে কেনাই সহজ। তবে এখনো জমজমাট হয়ে উঠেনি পশুর হাট। এবারো সাতটি স্থানে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিক্রি হবে কুরবানীর পশু। উল্লেখ যোগ্য কুরবানীর অস্থায়ী হাটগুলো হলো পৌরসভার শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম,বালুয়া হাট,সৈয়দ আহমেদ কলেজ,হলিদাবগার বাংঙালী হাট,ভেলুর পাড়া স্টেশন সংলগ্ন,তেকানী হাট,বালুয়াহাট। হাটে গিয়ে দেখা গেছে মহিষ ছাগল ভেড়ার চেয়ে গরু উঠেছে বেশি পরিমাণে।
এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা অফিস জানিয়েছেন এবছর চাহিদা তুলনায় কোরবানির পশু অনেক উদ্বৃত্ত রয়েছে।তবে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন ইতিমধ্যে অনেক হাট কমিটি অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। নিশ্চিন্তপুরের কুরবানীর গরু কিনতে আসা পাইকার ফিরোজ মিয়া তিনি একটি মাঝারি সাইজের গরু কিনেছেন দের লাখ টাকায়। তিনি জানান গতবছরের চেয়ে এবার কোরবানির সব ধরনের পশুর দাম অনেক বেশি।
উত্তর বয়ড়ার গরু বিক্রেতা তারাজুল ইসলাম বলেন, আমি দের লাখ গরু বিক্রি করলাম তবে গোখাদ্যের দাম অত্যন্ত বেশি সে কারণে এই দামে বিক্রি করেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। এদিকে হলিদাবগায় বাঙালি নদীর তীরে বাঙালি হাট কমিটির অন্যতম সদস্য জোরদার বাউল মুকুল বলেন,আমাদের এখানে প্রথম কুরবানি ঈদ উপলক্ষে গরুর হাট সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার বসবে। হাটের অনুমতির জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
তবে গরু প্রতি-৩শত টাকা এবং ছাগল প্রতি-১শত টাকা করে ছাপা আদায় করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন বলেন, উপজেলায় সম্ভাব্য সাতটি স্থানে অস্থায়ী ভিত্তিতে কুরবানীর পশুর হাট বসবে। ইতিমধ্যে অনেকেই আবেদন করেছেন তবে গরু ও ছাগলের ছাপা বাবদ যেন হাট উদ্বৃত্ত টাকা না উঠায় সেদিকে অবশ্যই আমাদের নজর থাকবে।