বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সোনাতলায় সরকারি প্রাথমিক এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফির নামে টাকা আদায়,আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিবর্তে অফিস কক্ষে আলাপ চারিতায় ব্যস্ত শিক্ষক। তবে অফিস সুত্রে জানাগেছে পরিক্ষার ফি এর নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবেনা এবং পাঠদান বন্ধ রেখে গল্পগুজব এটি তার কর্তব্যের অবহেলার সামিল।
উপজেলার নুরার পটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান,১ম,২য়,৩য় শ্রেণীর জন্য পরিক্ষার ফি ২০টাকা এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০টাকা নেওয়া হয়েছে তবে শিশুরা এটিও জানালেন টাকার বিষয়ে কেউ জানতে চাইলে পরিক্ষার ফির পরিবর্তে পিকনিকের জন্য নেয়া হয়েছে এমন কথা বলতে বলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
অভিভাবক জানান আগের হেড ম্যাডাম পরিক্ষার ফি কোনদিন নেয়নি তবে বর্তমান স্যার পরিক্ষার ফি আদায় করেছেন। এদিকে উত্তর করমজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় গিয়ে দেখা গেছে,বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষের শিশুদের বসার ব্রেন্সগুলো এলোমেলো অফিসে গিয়ে চোখে পড়ে দুজন শিক্ষিকা খোদ গল্পে মেতে আসেন আর কোনো শিক্ষক নেই। এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তরিঘরি করে কোনোমতে বসার ব্রেন্সগুলো ঠিকঠাক করে পাঠদান শুরু করে তবে সে সময়ে শিশু শ্রেণীর ৬জন ও ১ম শ্রেণীর ১জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান এই বিদ্যালয়ে ঠিকমতো পাঠদান হয় না। বিষয়টি জানাতে উত্তর করমজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমানকে মুঠোফোন অবগত করলে তিনি জানান পাঠদান বাদ রেখে কেন তারা বসে গল্পগুজব করবে আর আমি অফিসের কাজে সোনাতলা শিক্ষা অফিসে যাচ্ছি।
অন্যদিকে নুরার পটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমানের কাছে পরিক্ষার ফি আদায় সংক্রান্ত জানতে চাইলে তিনি থতমত খেয়ে প্রথমে বলেন টাকাটা সততা ষ্টোরের বাচ্চাদের খাতা কলম বাবদ নেয়া হয়েছে। আবার সুর বদলেই বলেন পিকনিক বিষয়ে নেয়া তবে একপর্যায়ে স্বীকার করেন পরিক্ষার ফি বাবদ টাকা নেয়া।
এবিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েতুর রশীদ বলেন নুরার পটল বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিক্ষার ফি বাবদ টাকা নেওয়াটা আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তবে অবশ্যই এবিষয় খতিয়ে দেখা হবে আর উত্তর করমজা বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের এধরনের ঘটনা আগেও জানতে পেরেছি এটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুরা বিষয়টি জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার জাভেদ আক্তারকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তবে অবশ্যই এটি খতিয়ে দেখা হবে।