বিকাশ স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পার্শ্ববর্তী বড়িয়াহাট বাজারে ৫টি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এমনটা জানান উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিস।ঘটনাটি গতরাত দুইটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার বড়িয়াহাটে ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে গোলজার রহমান বলেন রাত অনুমান দুইটার দিকে নৈশপ্রহরীর চিৎকারে বেড়িয়ে এসে আগুন দেখতে পাই।এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে শতাধিক জনতার উপস্থিত ঘটে। তবে সোনাতলা ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার বন্ধ পেয়ে সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়। ৯৯৯নাইনের ফোন পেয়ে সোনাতলা ফায়ার সার্ভিসের দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।আনিছুর রহমান জানান ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘন্টাখানেক আগে এলেই হয়তবা এতটা ক্ষতি হত না।
ক্ষতিগ্ৰস্থ দোকানীরা হলেন বড়িয়া হাটের পাশ্ববর্তী গকুলপুর গ্ৰামের নুরুল ইসলামের ছেলে লিখন সরকার, সৈয়দপুর গ্ৰামের জলিল এর ছেলে রানা মিয়া,তেলিপাড়া গ্ৰামের শাহজাহানের ছেলে পশু চিকিৎসক পলাশ মিয়া,বুড়াবুড়ীর রনজু মিয়া ও আবু হান্না। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার লিখন সরকার বলেন,আমার দোকানে প্রশিক্ষনের কম্পিউটার ও ডেক্সটপ সহ আরো আনুসাঙ্গিক জিনিস ছিল সব পুড়ে ছাই এতে ৬লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইলেকট্রনিক দোকানদার রঞ্জু মিয়া,রানা ইসলাম জানান আমাদের দোকানের সব ধরনের ইলেকট্রনিক মালামাল পুড়ে ছাই এতে করে ১৪লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তারাও বলেন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘন্টাখানেক আগে এলেই হয়তো এতটা ক্ষতি হতো না।
এছাড়াও কসমেটিক,ঔষধের দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয় এতে তাদের ২০লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন তারা।সোনাতলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর ইনচার্জ আব্দুর রউফ জানান গতরাত অনুমান দেড়টার দিকে ট্রিপল নাইনের ফোনে আগুন লাগার বিষয়টি জেনে আমরা দ্রুত বড়িয়াহাটে যাই এবং অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে হঠাৎ কয়েকজন আমাদের উপরে চড়াও হয় আমি মোকামতলা ফাঁড়ির শরণাপন্ন হলে পুলিশ এসে আমাদের সহযোগিতা করে।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগে এবং অন্ধকার থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে তদন্ত করে বলতে পারবো।