বগুড়া প্রতিনিধি:
আজকে শেষ কর্মদিবসে চাকরি জীবনের ইতি টেনে অবসরে যাচ্ছেন বগুড়া সোনাতলার জনপ্রিয় রেলওয়ে সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার মোঃ আব্দুল মাজেদ। স্থানীয়রা জানান,ষ্টেশন মাষ্টার মাজেদ খন্দকার ট্রেনের খবরাখবর নিতে আশা যাত্রীদের সাথে সব সময় স্বভাব সুলভ আচরণ করেছেন। মাজেদ খন্দকার তার জীবনী সম্পর্কে বলেন, স্কুল জীবনে আমি চান্দাইকোনাতে এক বাড়িতে লজিং থেকে লেখাপড়া করে চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে এসএসসি পাশ করি। পরবর্তিতে সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সাথে মাষ্টার্স পাশ করি।
কর্মময় জীবন শুরু করি ১৯৮৪সালে প্লান বাংলাদেশ নামক এনজিওতে ১৮মাস চাকরির মধ্যে দিয়ে। ১৯৮৫সালে চট্টগ্রামে সহকারী মাষ্টার হিসেবে নিয়োগ পেয়েই রেলওয়ে প্রশিক্ষণ একাডেমী হালি শহরে প্রশিক্ষণ নেয়। ১ম কর্মদিবস দিনাজপুরের খোলাহাটি রেলওয়ে ষ্টেশনে সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার হিসেবে। তবে পরবর্তি বদরগঞ্জ,শামপুর,তিস্তা, পীরগাছা,কাউনিয়ায় হয়ে আরো অনেক রেলওয়ে ষ্টেশনে কর্মরত থেকে অবশেষে আড়াই বছর আগে সোনাতলা রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন চাকরি শেষে ২৩ মার্চ তার রেলওয়েতে চাকরি জীবনে সোনাতলায় ইতি টানলেন।
জন্ম সুত্রে তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরের বাসিন্দ। তিনি বগুড়া শহরে ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। সংসার জীবনে এক সন্তানের জনক। একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন আবসরে জীবনে নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইংরেজি ও অংক বিষয়ে চর্চা করবেন। এদিকে তিনি চাকরি জীবনের স্মৃতির পাতায় থেকে বলেন, খোলাহাটিতে চাকরিরত অবস্থায় ২০০৩ সালে ষ্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে সেনাবাহিনীর গাড়ি নেবেল ক্রসিং না মেনে পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা নোকাল ট্রেন গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়।
সে সময়ে গাড়ির ড্রাইভার ঘটনাস্থলে মারা যান এবং বাহিনীর ক্যাপ্টেন গুরুত্বর আহত হন। ওই সময় বাহিনীর চাপে আমাদের চাকুরী চলে যাওয়ার উপক্রম হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শতাধিক লোকের স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজ সহ লালমনিরহাট জিআরপি থানায় আমি বাদি হয়ে মামলা করি। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন।