রনজিত কুমার পাল (বাবু), স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার ধামরাইয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার কর্তৃক হাশেম আলীর হাত পা ভেঙে দেওয়া নির্যাতনের প্রতিবাদে নির্যাতনকারী কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান ও তার সহযোগী বোরহান উদ্দিন মেম্বারসহ সকল আসামির শাস্তি ও জনপ্রতিনিধি পদ থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যগন ও এলাকাবাসী।
শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ধামরাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসীর যৌথ আয়োজনে এ’মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও মেম্বার বোরহান উদ্দিনের জনপ্রতিনিধি থেকে অপসারণ ও প্রত্যাহার চেয়ে শ্লোগান দিতে থাকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী লোকজন।
জানা গেছে-ভুক্তভোগী পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চোর অপবাদে চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে হাশেমকে নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের এমন একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশে বিদেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে যথারীতি ভাইরাল হয়েছে।
চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্যাতনের শিকার আহত হাশেম আলী (৪০) ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের খাতরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার।
ভুক্তভোগী কাশেমের স্ত্রী, কন্যা,ভাই জাহের আলীসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ির জায়গা নিয়ে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের সঙ্গে হাশেমের বিরোধ চলে আসছে।এ’নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিবাদেও জড়িয়েছে তারা। এরই জের ধরে কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে গেইট বন্ধ করে হাশেমের উপর লোকজন নিয়ে নির্যাতন চালায়। এসময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী বুঝতে পেরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাশেমকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ’ঘটনায় ধামরাই থানায় চেয়ারম্যান সহ ৫ জনের নামে একটা মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান সহ ৫ আসামির ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন আসামিরা জামিনে এসে তাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে এতে ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে চরম আতন্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য-গত মঙ্গলবার ধামরাই উপজেলার বড় চন্দ্রাইল এলাকায় চোর অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করেন স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও ইউপি মেম্বার বোরহান উদ্দিন সহ তার লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান-কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন স্হানীয় আব্দুল বারেকের পাঁচতলা ভবন নির্মানের কাজ করছিলেন হাশেম আলী। মঙ্গলবার রাতে রাতে বারেক সেই কাজের জন্য হাশেমকে এক লাখ টাকা বিল দেন। ওই বিল নিয়ে হাশেম বাড়ি ফেরার পথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন চালায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।