• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বগুড়ায় তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিতঃ সিটন,লিটন,সজল চেয়ারম্যান নির্বাচিত বগুড়ায় প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৩জন গ্রেফতারঃ আরেক প্রিজাইডিং সহ ৩ জনকে অব্যাহতি ৯১ এর ঘূর্নিঝড়ে নিহত ও তাদের স্বজনদের স্মরনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গিরের শোক ও সমবেদনা নোয়াখালীতে প্রচন্ড গরমে ১৮ শিক্ষার্থী অসুস্থ বেনাপোলের সন্তান ইমন হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক নান্দনিক আয়োজনে ‘বাংলা কবিতাঙ্গন’-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সেনবাগে ২৪ বোতল পরিত্যক্ত বিদেশী মদ উদ্ধার র‌্যাব-৭ এর হাতে গ্রেফতার হল ফেনীর কিশোর গ্যাং “সোয়াগ-৪৭” তীব্র গরম ও তাপদাহে অতিষ্ঠ সোনাতলাবাসী বাড়ছে নানা রোগ নোয়াখালীতে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

বগুড়া সোনাতলায় শিক্ষক শিক্ষকে দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থী হারাচ্ছে বিদ্যালয়

News Desk
আপডেটঃ : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়া সোনাতলায় শিক্ষক শিক্ষকে দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থী হারাচ্ছে বিদ্যালয়। ঘটনাটি উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ইউনিয়নে ৫০নং সরকারী শরলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয়রা জানায়,বেশ কয়েক মাস ধরে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছরিন সুলতানার সাথে সহকারী শিক্ষিকা ছামছুন নাহারের দ্বন্দ্ব হয়।

এক পর্যায়ে দ্বন্দ্বটি প্রকোপ আকার ধারন করা সহ হাতাহাতিতে গড়াই।দুই শিক্ষিকার দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত কম বলে জানান। তবে বিদ্যালয়ে গেলে ৩য় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীতে ১৭জন শিক্ষার্থীর উপস্থিত পাওয়া যায়। ওই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ রিহান বাবু সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (মাডাম) প্রায় সময়েই আমাদেরকে অপমানজনক কথা বলেন।

পেন্সিল,সাবান চাইলেও দেন না এবং মাডামের অপমানজনক কথার কারণে অনেকেই স্কুলে আসা ছেড়ে দিয়েছে। দ্বন্দ্বের বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা সামছুন নাহার বলেন,গত মাস দেরেক আগে প্রচন্ড শীতের কারণে স্কুলের সময়সুচির পরিবর্তন ঘটে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানলেও আমাকে জানাননি।বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে কলম দিয়ে আঘাত করে। প্রতিকার চেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছরিন সুলতানা বলেন,সহকারী শিক্ষক প্রায় সময়েই আযাথা কিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে। আঘাতের বিষয় স্বীকার করে বলেন দুজনেরই দোষ আছে তবে ইউএনও মহোদয় এটি মিমাংসা করে দেবে। বাচ্চাদের সাথে অশালীন আচরণ করা প্রসঙ্গ তুললে তিনি নিরোব থাকেন। বাচ্চাদের উপস্থিতি এত কম এবিষয়ে জানান বাচ্চাদের স্কুলমুখী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তেকানীচুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন,দু শিক্ষিকার দ্বন্দ্ব চেষ্টা করেও মিটাতে পারিনি তবে এর প্রভাব পড়েছে শিশুদের উপর।সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি কমিটির সভাপতি মোছাঃ রুনা লায়লা বলেন,এবিষয়ে আমি শিক্ষকদের নিয়ে বসেও মিমাংসায় কেউ আসেনা।

তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনারা এগুলো নিয়ে কিছু লিখবেন না বলে ফোন রেখে দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েতুর রশিদ জানান,সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু শিক্ষকের দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানি তবে মিমাংসা করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন,সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা দরখাস্ত করেছেন তবে বিষয়টি মীমাংসা সহ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দুজনকে নিয়েই বসবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ