• রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির সিইও’র যোগদান ও পুরস্কার বিতরণ ধনবাড়িতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া ও জনসভা অনুষ্ঠিত ধামরাই ইউনিয়ন বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জনসভা অনুষ্ঠিত সেনবাগ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে শীতার্ত ও দুস্হদের মাঝে কম্বল বিতরণ আমতলীতে হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষন ঘটনায় অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের মধুপুরে মিলছে না শিশু সুরক্ষা টিকা হতাশায় শিশুর অভিভাবক  আমতলীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে তারুণ্যের উৎসব পালিত সেনবাগে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ক্রীড়া উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ বাংলাদেশ স্কাউট মধুপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে বন প্রহরীকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটানোর হুমকি যুবদল নেতার

মধুপুরে মামলায় জামিনে এসে স্বাক্ষী সহ পরিবারের লোকজনকে মারপিট করার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে মামলায় জামিনে এসে স্বাক্ষী সহ পরিবারের লোকজনকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্বাক্ষী আব্দুর রহমান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায় মধুপুর পৌর শহরের জটাবাড়ী পূর্ব পাড়ার ইয়াছিনের ছেলে ইব্রাহীমদের সহিত পার্শবর্তী বাড়ীর মৃত হযরত আলীর ছেলে আফজালদের সহিত রাস্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে শত্রুতা চলে আসছিল। আফজাল হোসেন এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে এলাকায় কেহ সত্য সাক্ষ্য দিতে সাহস পায় না।
গত ২৭/০৫/২০২৩ইং তারিখে ইব্রাহিম বাদী হইয়া বিজ্ঞ
আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। যার নাম্বার সি আর ৩৮১/২৩ ধারা ৩২৫/৩০৭/৩৮৫।

উক্ত মামলায় বিবাদী আফজাল হোসেন হাজত খাটিয়া বিগত ৩১/০১/২০২৪ইং তারিখে জামিন প্রাপ্ত হইয়া বাড়ীতে আসে। উক্ত মামলায় মুত আতাব আলীর ছেলে আব্দুর রহমান সাক্ষী দেওয়ায় তাকে সহ তার চাচাত ভাই ইব্রাহিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। উক্ত বিষয়ে আব্দুর রহমানের চাচাত ভাই ইব্রাহিম গত ০১/০১/২০২৪ইং তারিখে মধুপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করে যাহার জিডি নং ৪২।

সেই আক্রোশে ১১/০২/২০২৪ইং তারিখে বেলা আনুমানিক ২.০০ ঘটিকার সময় বিবাদী পিতা মুত হযরত আলীর ছেলে আফজাল হোসেন, মোঃ শামছুল হক (৪৫) স্ত্রী মোছাঃ নাজমা বেগম, সামছুল হকের ছেলে আতিকুর রহমান, বিল্লাল হোসেন স্রী মোছাঃ হাফিজা বেগম, বিল্লালের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান মোঃ হাফিজুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বেগম আফজাল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ সাথী আক্তার সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫জন বিবাদী তাহাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল, রামদা, বাগী, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া তার বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া মারপিট করে এসময় আফজাল তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়া খুন করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী সমলার মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে উক্ত বারি স্ত্রীর ডান হাত দিয়া ফিরাইলে ডান হাতের শাহাদৎ আঙ্গুলে লাগিয়া মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্যর মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এব্যাপারে আব্দুর রহমান এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের নিকট জানাইলে, পুনরায় সেই আক্রোশে গত ১৩/০২/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ৭.০০ ঘটিকায় উল্লেখিত বিবাদীগন তাহাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল, রামদা, লোহার শাবল, বাগি ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া তার বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জরিনা বেগমকে চুলের মুঠি ধরিয়া বিবাদীগনের উঠানে লইয়া যায় তখন বিবাদী শামছুল হুকুম দেয় যে, আজ শালীকে উলঙ্গ করিয়া খুন করিয়া ফেলিয়া ওদের গুষ্টি নিপাত করিয়া দে। উক্ত হুকুম পাইয়া সঙ্গে সঙ্গে বিবাদী আফজাল তার হাতে থাকা রামদা দিয়া তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জরিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে কোপ মারিলে উক্ত কোপ তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর মাথার উপরে চান্দির উপরে লাগিয়া মারাত্মক হাড় কাটা রক্তাক্ত গুরুতর কাটা জখম হয়।

উক্ত কোপ খাইয়া জরিনা মাটিতে পড়িয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিবাদী হাফিজুর তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া ভিকটিম জরিনাকে হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে কোপ মারিলে উক্ত কোপ জরিনার মাথার উপরে বাম পাশে লাগিয়া রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। জরিনার ডাকচিৎকারে তার ছোটভাইয়ের স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্য সুখী বেগম, সাগর, আমিনুর আগাইয়া গেলে বিবাদী আতিকুর তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে উক্ত বারি সুখী বেগমের বাম কানে লাগিয়া বাম কানের লতি সহ ফাটিয়া রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিবাদী শামছুল হক আমিনুল কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা বাগী দ্বারা মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারিলে আমিনুরের বাম চোখের উপরে লাগিয়া গুরুতর কাটা জখম হয়। অন্যান্য বিবাদীগন তাহাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি লোহার রড দ্বারা বাইরাইয়া ভিকটিম সাগরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ও ফুলা জখম করে।

পরবর্তীতে আব্দুর রহমান ঘটনার স্থল হইতে জরিনা,সুখী, সাগর, আমিনুর কে দ্রুত উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং মোছাঃ জরিনা বেগম ও সুখী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করিলে তাকে উক্ত হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক ভর্তি করেন।

বর্তমানে তাহারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বর্তমানে আহত জরিনার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় শুক্রবার তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ