বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় এক প্রতিবন্ধীর জীবন বাঁচানোর শেষ সম্বল ১৬শতক জমি। এক চিলতে ওই জমিতে প্রতিবন্ধী জিবন স্ত্রী সহ পরিশ্রম করে ফলায় ফসল। জমির ফসলে চলে কোন রকমে তাদের সংসার। কিন্তু বাঁধ সেধেছে বিদ্যাময়ী স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তাদের ছোড়া পলিথিন জমিতে ফেলানোর কারণে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। জীবন বর্মন প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জিবন বর্মন উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্ৰামের মৃত যতিন বর্মনের ছেলে। জিবন জানান একই গ্ৰামের মৃত সুধাংশু পালের ছেলে সুবীর পাল বিদ্যাময়ী শিশু নিকেতন নামের এক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। তবে বেশ কিছু দিন ধরে জিবনের ফসলি জমিতে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কুলের জানালা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কেক, বিস্কুটের জাতীয় খাদ্য পণ্যের পলিথিন মোরক ফেলে এতে করে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরো বলেন,ফসলি জমিতে আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ করতে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রীমা সাহা হুমকি দেয়।
পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সুবীর পালকে পলিথিন জমিতে ফেলতে নিষেধ করলে জীবন বর্মনের উপর চড়াও হয় সুবীর পাল তাকে গালিগালাজ সহ হুমকি দেয়। ফসল নিরাপদ রাখতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রীমা সাহা বলেন,পলিথিন বাচ্চারা ফেলেছে অসাবধানতা বশত।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সুবীর পাল বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাকে কোনরুপ গালিগালাজ করা হয়নি। তবে তিনি বলেন পত্রিকায় লিখে কোন লাভ নেই।সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।