মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী ও হক লাইব্রেরির মালিক ফজলুল হক অপহরণ ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। জামাল উদ্দিনকে (৫৫)২৬ বছর পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত দেড়টার সময় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মপুরের আকনগলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জামাল উদ্দিন জেলার বেগমগঞ্জের শরীফপুর ইউনিয়নের মৃত ছাদু মিয়ার ছেলে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার পরিচালক (উপ) লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান। জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিন ও আবুল হাসেমসহ কয়েকজন মিলে চৌমুহনী রেলস্টেশন রোডের হক লাইব্রেরির মালিক মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হকের বড় ছেলে ফজলুল হককে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান পায়নি। পরে একই বছরের ৯ই ফেব্রুয়ারি ফজলুল হকের বাবা সামছুল হক বাদী হয়ে সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে জানায়, হত্যাকারীররা নিহতের মরদেহ গুম করেছে। ২০১৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিনকে বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক কবিতা আক্তার শিরিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আসামি জামাল উদ্দিন নাম পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে চলে যান। র্যাবের সদস্যরা তথ্য-প্রযুক্তি সহায়তায় এবং ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসামির পরিচয় শনাক্ত করে এবং গোয়েন্দা দলের তথ্য সংগ্রহপূর্বক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে।