• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রথমবার সচিবালয়ে বৈঠকে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত নবলোক ও ওয়াটার এইড এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে “Gender Transformative WASH” বিষয়ে প্রধান শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ‘চক্ষুসেবায় নারীদের অভিগম্যতা নিশ্চিৎকরণ’ বিষয়ক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ার গোনালী একটি পতিত জমিতে জাতীয় ফুল শাপলা স্মৃতির আসনে জায়গা নিয়েছে রংধনু স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত শুভ সকাল অনুর্ধ ১৫ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে এক শিশুর দায়ের আঘাতে আরেক শিশুর মৃত্যু মধুপুরে উপজেলা ভিত্তিক ভুমি বিষয়ক সচেতনতা মুলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কেরানিহাট ‘দি গ্রিন ভিশনে’র মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বরগুনায় স্বপ্নযাত্রী একতা ফাউন্ডেশন এর উদ্যােগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন

অর্থের অভাবে পায়ের চিকিৎসা করতে পারছে নাঃ বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন ছানারুল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার,বগুড়া প্রতিনিধিঃ

অর্থের অভাবে ভাংগা পায়ের ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারছে না মোঃ ছানারুল ইসলাম। ছানারুল ইসলাম বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার রানীরপাড়া গ্ৰামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান,পিতার দারিদ্রতার কারণে পাড়া প্রতিবেশীর বাড়িতে কাজ করে বেরে উঠে ছানারুল। বছর দশেক আগে উপজেলার বগা গ্ৰামের প্রতিবন্ধী কামালের মেয়ে মোছাঃ কাকলী বেগমকে বিয়ে করে সংসার জীবনে দুটি কন্যা সন্তান ১টির সাত বছর অপরটির ৪বছর। ছানারুল ইসলাম বিয়ের পর থেকেই রং মিস্ত্রির হেলপার হিসাবে কাজ করে দৈনিক দু-আড়াইশত টাকা রোজগার হতো তা দিয়ে কোনমতে চলতো সংসার।

এদিকে গত ২৬শে জুন বগুড়ায় কাজ শেষে রাতের লোকাল ট্রেনে ভেলুরপাড়ায় নামে।ষ্টেশন সংলগ্ন আটো ভ্যানে বাড়ি ফেরার পথে ভেলুরপাড়ার তিনমাথা এলাকার ফাকা জায়গায় দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ছানারুলের ডান পা ভেঙ্গে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ্যমব্লুলেন্সে করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেন। অর্থের কারণে এ্যমব্লুলেন্স ভাড়ার টাকা জোগার না করতে পারায় স্থানীয়দের সহায়তায় গ্ৰাম্য কবিরাজের শরনাপন্ন হয় ছানারুল।

এদিকে প্রায় ছয়মাসে গ্ৰাম্য কবিরাজের বাড়ীতে যাওয়া আসা করেও ভালো হয়নি পা,উপরন্ত বর্তমান পায়ের ব্যথায় ঠিকমতো চলাফেরাও করতে পারছেনা। এখন প্রায় সময় দুঃচিন্তায় থাকে ছানারুল কিভাবে করবে তার পায়ের চিকিৎসা,কিভাবেই চালাবে সংসার। এদিকে কাজকর্ম করতে না পাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বাজারো করতে পারছেনা। অর্থ অভাবের কারণে বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াটায় কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে ছানারুলের।

তবে এবিষয়ে চিকিৎসক জানিয়েছেন প্রায় এক লাখ খরচ করলেই স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারবে ছানারুল। মোঃ ছানারুল ইসলাম বলেন,সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভাংগার পর হতে নিয়মিত কাজ করতে পারছি না। এতে করে আগে হয়তবা চেয়ে চিন্তে ঔষধ কিনে খেয়েছি।

তবে বর্তমান টাকার অভাবে ঔষধ কিনে খেতে পারছি না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন পিতার রেখে যাওয়া সামান্য জায়গায় থাকা বাড়িটি বিক্রির জন্য টাকা নিয়েছি সেটিও আর থাকবে না। এখন একটা চিন্তাই সব সময় হয় বুঝি পা দিয়ে সাবাভিক হাঁটা চলাফেরা আর করতে পারবোনা।সংসারে স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার বুঝি তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ দুঃসময়ে তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাইলেন। ছানারুলের বিকাশ নাম্বার পার্সোনাল (০১৭৯৭৫৯৬৯২১)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ