মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুকুর পাড়ে গোসল করাকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ইসমাইল হোসেন বাচ্চু (৫০) উপজেলার উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নোয়াজী হাজি নাতির বাড়ির ছায়দুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াজী হাজি নাতির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধে পুকুর পাড়ে গোসল করাকে কেন্দ্র করে নোয়াজী হাজি নাতির বাড়ির জাকির হোসেনের স্ত্রী বিবি কুলসুম এবং একই বাড়ির মিজানুর রহমানের স্ত্রী তাজ নাহার বেগমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরবতীতে পুরুষ সদস্যরা রাত ৮টার দিকে বাড়িতে এলে পুনরায় দুই পরিবারের মাঝে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে দুই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ইসমাইল হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের ছেলে দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে দুই পরিবারের মধ্যে পুকুর ঘাটে গোসল করাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। পরে রাত ৮টার দিকে আমারদের বাড়ির আমার বাবার দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই আব্দুল মালেক ভুট্রু ও তার ছেলে হাসান বাবার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের আরও কয়েকজন আত্মীয় স্বজন ছিল।তাদের মারধরে আমার বাবা আমাদের উঠানেই মারা যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনালেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের গায়ে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।