বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জনগণের আস্থা ও ভরসার একমাত্র কান্ডারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আসফার সায়মা। যিনি প্রতিনিয়ত ও প্রতি মুহূর্তে এলাকার জনগণের যে কোন সমস্যায় দ্রুততার সহিত পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার ক্লান্তিহীন সেবা পেয়ে রিতিমত খুশিতে উপজেলাবাসি।
এদিকে উপজেলার বোচারপুকুর বাজারে মরা গরুর মাংস বিক্রি করছে কসাই এমন সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান তিনি।
এ সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে,গত ২৩ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘবাড়ি গ্ৰামের আনারুল ইসলাম এর গরু অসুস্থ্য হলে স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করেন। তাতে গরু সুস্থ্য না হলে তিনি স্থানীয় কসাই মোঃ তমিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ বুলু সরকার নামের এক কসাই গরুটি দামাদামি করে ১৭হাজার টাকায় কিনে সেখানেই মুমুর্ষ অবস্থায় গরুটিকে জবাই করে।
পরে গোশত গুলো বোচারপুকুর বাজারে সন্ধ্যায় বিক্রিকালীন সময়ে স্থানীয় ক্রেতারা তা ক্রয় করতে আসে। এ সময় ক্রেতারা গরুর গোশ হতে দুর্গন্ধ পায়। সে সময়ে ক্রেতারা বুঝতে পারে এ গোশত গুলো মরা গরুর। ঠিক সে সময়ে স্থানীয় জনতা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে বিষয়টি অবহিত করে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাথে থাকা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাদ্দাম প্রাথমিক যাচাই করে গোশত গুলো মরাগরুর তা সনাক্ত করেন। মরা গরুর গোশত বিক্রির দায়ে বোচারপুকুর বাজারের কসাই বুলু সরকারকে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, গরুটি অসুস্থ্য থাকায় মুমুর্ষ অবস্থায় জবাই করা হয়েছে বলে গরুর মালিক জানিয়েছেন। তবে আমাদের ধারণা গরু মরা অবস্থায় জবাই করার কারণে মাংসের পরিবেশ একেবারেই খারাপ ছিল। তবে ওই কসাই তার বিপরীতে কোন যুক্তি উপস্থাপন করতে না পারেনি।
এসময় তাকে ইউএনও মহোদয় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন, সংবাদ পেয়ে বোচারপুকুর বাজারে গিয়ে দেখি ওই মাংসগুলো হতে দূগন্ধ বেরুচ্ছে। পরে স্থানীয় দের সহযোগিতায় মাংস জব্দ করে পুঁতে ফেলা হয় এবং কসাইকে সতর্ক করা সহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।