বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলা পৌর সংলগ্ন বাইগুনির কালাই দিয়ে তৈরি বড়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছেছে। এই বড়া যাচ্ছে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায়।
ওই গ্ৰামে ৫০/৬০ ঘর সাহা সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই মাসকালাই এর বড়া বানিয়ে ভাগ্যও বদলিয়েছে অধিকাংশ পরিবারের। শুধু তাই নয় সকালে ওই গ্ৰামে ঢুকলেই চোখে পড়বে রাস্তার দুধারে সারিবদ্ধভাবে নারী পুরুষেরা গামলায় কালাই গুড়া মাখিয়ে বড়া তৈরি করে নেটে শুকাতে দিচ্ছে।
তবে স্থানীয়রা জানান আগে শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই এ বড়া বানাতো কিন্তু এখন মসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন এ পেশায় যুক্ত হয়েছে। বড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,আগে তারা শুধু মাসকালাই দিয়েই বড়া বানাতো। বর্তমানে মাসকালাই এর দাম বৃদ্ধির কারণে বড়াতে এংকর কালাই মিশাতে হচ্ছে।
ওই গ্ৰামের সুজিত কুমার সাহা পেশায় পান ব্যবসায়ী তিনি বলেন,বর্তমানে ওই ব্যবসায় মন্দাভাবের কারণেই তিনি কালাই এর বড়া বানিয়ে তা বেচাকেনাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে তিনি বলেন বড়া বেচে খুব সুখেই কাটছে তার সংসার। ওই গ্ৰামের রনজিৎ কুমার সাহা তিনি অটোরিকশা চালিয়ে দিনাতিপাত করলেও ওই ব্যবসা ছেড়ে তিনি সহ পরিবারের সবাই এখন বড়া বানানো পেশায়। এ বিষয়ে তিনি বলেন প্রতি কেজি মাসকালাই ১৩০থেকে ১৫০টাকা এবং এংকর কালাই ৯০থেকে ১০০টাকা কিনতে হয়। তবে সন্ধ্যায় কালাই ভিজিয়ে রাখে ভোরে খোসা ছাড়িয়ে প্রতি কেজি ৫/৬টাকা দিয়ে মিলে ভাংগাতে হয়।
এরপর সেগুলো ভিজিয়ে ভালো করে যত্ন সহকারে ধুইয়ে এবং মাখিয়ে রেখে সকাল থেকেই প্লাষ্টিক নেটে বড়া বানিয়ে রৌদ্রে শুকাতে দেয়া হয়। রৌদ্র ভালো হলে দুদিনেই বড়া শুকিয়ে যায়। তবে বিক্রি করতে কোন বেগ পেতে হয় না। ঢাকা সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা এসে বাড়ি থেকে বড়া নিয়ে যায়। তবে বড়ার প্রকার ভেদে ১৮০টাকা থেকে ৪০০টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি।