এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকেঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কালজয়ী গান “কারার ঐ লৌহ কপাট”-এর সুর বিকৃতির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
১৩ নভেম্বর’২৩ ইং সোমবার বিকেল ৪ টায় ‘জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চ্চা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি হিলস্থ নজরুল মুর্যালের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নজরুল স্মৃতি পরিষদের সভাপতি তারিফ হোসাইন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ। চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন, প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী সাংস্কৃতিক সংগঠক চৌধুরী জসীমুল হক, পাঠ আবর্তের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক হানিফ মান্নান, জুঁইফুলের পরিচালক ও প্রতীক অনলাইন লাইব্রেরীর সভাপতি মোহাম্মদ আবদুর রহমান জোনায়েদ, জাতীয় দৈনিক বিজয়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ সাংবাদিক ইমতিয়াজ ফারুখী।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহামদ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান “কারার ঐ লৌহ কপাট” কে তথাকথিত রিমেক্সের নামে যেভাবে বিকৃত সুর বিকৃত করে পরিবেশন করা হয়েছে তা একপ্রকার সুকৌশল সড়যন্ত্রের সামিল।
বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এ আর রেহমান এ কাজটি করেছেন তা ভাবতেই অবাক লাগে। এই গানটি বিকৃত সুরে একটি চলচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, যা এপার-ওপার বাংলার বাঙালী জাতির জন্য এবং সারা দুনিয়ার নজরুল প্রেমিদের কাছে লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের ঐতিহাসিক পেক্ষাপটে রচিত ও খুবই জনপ্রিয় এই গানটিকে এআর রেহমান সুর বিকৃতির মাধ্যমে হত্যার সামিল হিসেবে বিবেচিত হবেন ইতিহাসে।
অনতি বিলম্বে এই বিকৃত সুরের এই গানটি চলচিত্র থেকে প্রত্যাহার সহ আইনগত বিষয়ে ভারতের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মান মর্যাদা রক্ষার জন্য ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান প্রতিবাদী মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক দিদারুল আলম, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, হ্যাপি বড়ুয়া, ডা. অঞ্জন সেন, মুরিদুল আলম প্রমূখঃ। সভা শেষে নগরীর ডিসি হিল থেকে প্রতিবাদী মানববন্ধনটি র্যালী করে চেরাগী পাহাড়ে এসে শেষ হয়।