• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
স্বামি দাবি করে বাঁশখালীতে তরুণীর অনশন নিয়ে ধুম্রজাল আমতলীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩২ জন আহত সেনবাগে ইদিলপুর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাঁশখালীতে ৬৪৫ বোতল বিদেশী মদ জব্দ, গাড়ি সহ গ্রেফতার-০৩ রেড ব্রিজ স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্লাশ পার্টি ও জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমতলীতে অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতি নোয়াখালীতে নিখোঁজের ১০ দিন পর খালে মিলল বেদের মরদেহ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রথমবার সচিবালয়ে বৈঠকে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত

রাজশাহীতে নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ডাক্তার, ফাতিমা সিদ্দিকার, বিরুদ্ধে মামলা কারাগারে প্রেরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর একটি বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

শনিবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ২৩ মে শাহ মখদুম থানায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি বিস্ফোরক আইনের মামলা হয়। সেই মামলায় চিকিৎসককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার বাড়ি থেকে ফাতেমা সিদ্দিকাকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ডিবি ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ তার বাড়ির ভেতরে ঢোকে।

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বলেন, শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামিরুল ইসলাম বলেন, “ফাতেমা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

তার বাড়িটিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বৈঠকেও করেন। মূলত জামায়াতের লোকজন সেখানে গোপন বৈঠক করেছে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাড়িতে কিছু জামায়াতের বই ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে।”

রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, “ফাতেমা সিদ্দিকা আমাদের একজন সমর্থক। তিনি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন। বিনা কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেফতারের নিন্দা জানাই এবং দ্রুত তার মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।”

রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের খ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। ফাতেমা সিদ্দিকা ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে দুদককে খবর দিয়েছিল।

এছাড়াও ৭ সেপ্টেম্বর ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়।

তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ