বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় দির্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসা চোরাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলো সোনাতলা জোনাল বিদ্যুৎ অফিস। স্থানীয়রা জানিয়েছে,পৌরসভার ৯নং ওয়াডের কানুপুর গ্ৰামের মৃত আঃ কাদের আকন্দ এর ছেলে মোঃ আব্দুল হামিদ আকন্দ অনেক আগে থেকেই সে দলীয় নেতা পরিচয় দিয়ে চোরাই ভাবে মেইন লাইনে হুক এর মাধ্যমে সংযোগ লাগিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে।
ফলে চোরাই সংযোগ ব্যবহার করে তিনি নিয়মিত ইলেকট্রনিক মটর দিয়ে পানি উত্তোলন করে পুকুর সহ বিভিন্ন কাজে পানি ব্যবহার করে আসছে বলে স্থানীয় ভাবে জানা গেছে। তবে আঃ হামিদ আকন্দ প্রায় বছর দুয়েক আগেও এ ধরনের চোরাই ভাবে মেইন লাইনে হুক লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চানালোর জন্য সে সময়ে বিদ্যুৎ অফিস তার কাছ থেকে ৭০হাজার টাকা জরিমানা আদায়ও করেছিলেন। যদিও আভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা এলাকার সবার মুখে মুখে।
কিছু ঘটনায় জরিমানা গুনলেও এক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে এলাকাবাসী আরো জানান আঃ হামিদ আকন্দ চড়া সুদে এলাকার অসহায় ও গরীব লোকজনকে টাকা দেন এ নিয়ে নাকি মাঝেমধ্যেই লোকজনের সাথে তার ঝামেলাও হয়।
এবিষয়ে বগুড়া পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ০২এর সোনাতলা জোনাল অফিসের(ওএনএম)মোঃ জোবায়ের ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে আমরা কানুপুর গ্ৰামের আঃ হামিদের নিজের ঘরে মেইন সুইচ বসিয়ে মেইন লাইনে হুক লাগিয়ে অবৈধ ভাবে সংযোগ নিয়ে ইলেকট্রনিক মটর দিয়ে পানি উত্তোলন করে আসছে। আমরা সে সময়ে অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এবিষয়ে ওই অফিসের ডিজিএম উত্তম কুমার সাহা বলেন, অফিসের নির্দেশিকা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে যথাযত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চোরাই বিদ্যুৎ ব্যবহার বিষয়ে জানতে চাইলে আঃ হামিদ আকন্দ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন এটি বিরোধী দলের চক্রান্ত। তিনি আদেও এ ধরনের ঘটনার সাথে জরিত না বলে জানান। তবে গত দু বছর আগে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস হতে চোরাই ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ৭০হাজার টাকা জরিমানা সংক্রান্তে জানতে এবং এলাকায় তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা গুলো সহ দাদন ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মিটিং এ আছি বলে মোবাইল সংযোগটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন,আমি এ থানায় যোগদানের পর এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে জানা নেই তবে দাদনের বিষয়ে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।