• শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রক্ত দিন, জীবন বাঁচান: চসিক মেয়র শাহাদাত ডুমুরিয়ায় খেজুরগাছ কাটা আর গাছির অনাগ্রহে কমছে রস চট্টগ্রাম নগরীর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবু গ্রেফতার চাটখিলে সিএনজি চালকে মারধর, গাড়ি ভাংচুর-থানায় অভিযোগ খুলশী চাইল্ড গ্রামার কে.জি স্কুলের বর্নাঢ্য ক্লাস পার্টি  সম্পন্ন ডুমুরিয়ায় মহান বিজয় দিবসের বিজয় মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন আমতলীতে লামিয়া আক্তার তিন্নি হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের ডুমুরিয়ার চুকনগর বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন জগন্নাথপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময় আমতলীতে দেবরের কোদালের কোপে ভাবী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

“পূজার নামে উশৃংখলতা ,ধর্মের আবরণে নোংরামি দেখে আমি হতাশ,ব্যথিত, ক্ষুব্ধ”

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিজয় চন্দ্র সরকারঃ

(অতিরিক্ত আইজিপি) বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য (বিপিএম) বলেন, “আর কিছু দিন পর বাঙালী হিন্দুর সর্ববৃহৎ সর্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। পূজা উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু হয়ে গিয়েছে।”

তবে পূজাকে উপলক্ষ করে অনেক মণ্ডপেই যে কুরুচিপূর্ণ গান-বাজনা ও উচ্ছৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায় সেসব নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেবদাস ভট্টাচার্য। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামি দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। সেসঙ্গে বাংলাদেশের সকল পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি কয়েকটি সুপারিশ ঘোষণা করেছেন তিনি।

সামাজিকমাধ্যমে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য নিচের নির্দেশনাগুলো প্রদান করেন-

১। আরতির নামে ডিজে,কুরুচিপূর্ণ গান সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

২। প্রতি সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে ধর্মীয় আলোচনা এবং ধর্মীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন এক বা দুইজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে আলোচনার জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা হলে দর্শক সমাগম বজায় থাকবে এবং সকলে উপভোগ করবেন।

৩। ধর্মীয় বিষয়ের উপর শিশু, কিশোর, তরুণদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার প্রদানের আয়োজন করা যেতে পারে।

৪। সমবেত চণ্ডীপাঠ বা সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা যেতে পারে।

৫। প্রতিদিন সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে এবং সঠিক নিয়মে অঞ্জলির পরিকল্পনা এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬। আলোকসজ্জা বা অন্যান্য খরচ কমিয়ে বাজেটের একটি অংশ দিয়ে গরীব পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।

৭। প্রতিমা নির্মাণ সহ পূজার সমস্ত প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বিধান মেনে সাত্ত্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এরপর তিনি বলেন, “পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মীয় বোধের যে অবক্ষয় চোখে পড়ে, তাতে আমি হতাশ, ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামির ফলে যুব সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে, পথভ্রষ্ট হচ্ছে।”

“ধর্মকে গ্লানিমুক্ত করে গৌরবময় করতে সবাইকে এক লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

নিউজ জাতীয় বাংলাদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধেয় অতিরিক্ত আইজিপি মহোদয় কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ