• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে হজ্জ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বাঁশখালী লবন শ্রমিক কল্যান ইউনিয়ন-এর নির্বাহী কমিটি গঠিত ৪ বার পুরস্কৃার পেলেন গ্রাম পুলিশ ময়না দাস সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম শাখার সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারদের ১৯৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে মতবিনিময় পুলিশ সুপারের মধুপুর সার্কেল অফিসার ১০ম বারের মতো শ্রষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচিত বগুড়ায় নয়া উদ্ভাবিত ডায়াবেটিক রাইস চাষে ব্যপক সাড়া ফেলেছে কৃষক আলী বগুড়ায় বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু ওবায়দুল কাদেরের সাথে মোজাম্বিক কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ধামরাইয়ে সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

“পূজার নামে উশৃংখলতা ,ধর্মের আবরণে নোংরামি দেখে আমি হতাশ,ব্যথিত, ক্ষুব্ধ”

News Desk
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিজয় চন্দ্র সরকারঃ

(অতিরিক্ত আইজিপি) বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য (বিপিএম) বলেন, “আর কিছু দিন পর বাঙালী হিন্দুর সর্ববৃহৎ সর্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। পূজা উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু হয়ে গিয়েছে।”

তবে পূজাকে উপলক্ষ করে অনেক মণ্ডপেই যে কুরুচিপূর্ণ গান-বাজনা ও উচ্ছৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায় সেসব নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেবদাস ভট্টাচার্য। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামি দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। সেসঙ্গে বাংলাদেশের সকল পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি কয়েকটি সুপারিশ ঘোষণা করেছেন তিনি।

সামাজিকমাধ্যমে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য নিচের নির্দেশনাগুলো প্রদান করেন-

১। আরতির নামে ডিজে,কুরুচিপূর্ণ গান সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

২। প্রতি সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে ধর্মীয় আলোচনা এবং ধর্মীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন এক বা দুইজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে আলোচনার জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা হলে দর্শক সমাগম বজায় থাকবে এবং সকলে উপভোগ করবেন।

৩। ধর্মীয় বিষয়ের উপর শিশু, কিশোর, তরুণদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার প্রদানের আয়োজন করা যেতে পারে।

৪। সমবেত চণ্ডীপাঠ বা সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা যেতে পারে।

৫। প্রতিদিন সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে এবং সঠিক নিয়মে অঞ্জলির পরিকল্পনা এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬। আলোকসজ্জা বা অন্যান্য খরচ কমিয়ে বাজেটের একটি অংশ দিয়ে গরীব পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।

৭। প্রতিমা নির্মাণ সহ পূজার সমস্ত প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বিধান মেনে সাত্ত্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এরপর তিনি বলেন, “পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মীয় বোধের যে অবক্ষয় চোখে পড়ে, তাতে আমি হতাশ, ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামির ফলে যুব সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে, পথভ্রষ্ট হচ্ছে।”

“ধর্মকে গ্লানিমুক্ত করে গৌরবময় করতে সবাইকে এক লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

নিউজ জাতীয় বাংলাদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধেয় অতিরিক্ত আইজিপি মহোদয় কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ