বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সোনাতলা পৌরসভার গড়চৈতন্যপুর(কামারবাড়ি)তে কামারশালার রাতের আঁধারে ২৪টি ধোমকা বা হাতিনের ছিকল চুরি হয়েছে।
ঘটনাটি গত ২৭শে জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘটেছে। এ সংক্রান্ত ২৮শে জুলাই শুক্রবার রাতে সোনাতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীদের পক্ষে চঞ্চল চন্দ্র কর্মকার। থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার গড়চৈতন্যপুর গ্ৰামের কামারশালার প্রায় শতাধিক কামার শিল্পের দোকান বা কারখানা আছে।
কামারশালার কর্মকার সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিদিন কাকডাকা ভোর হতে বিকেল পর্যন্ত লোহার হরেক রকমের পণ্য তৈরি করে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৭শে জুলাই বৃহস্পতিবার কাজ শেষে রাতে কামারিরা দোকান যত্ন করে রেখে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে কামারিরা দোকানে এসে দেখে দোকানের ধমকার দু পার্শের ছিকল কে বা কাহারা রাতে চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ সময়ে একে অপরের দোকানে খোজ নিয়ে দেখে প্রায় ২৪টির মত দোকানের ধমকার দুপার্শের ছিকল চুরি হয়েছে। এতে করে তাদের যেমন কাজের ক্ষতি হয়েছে,তেমনি হয়েছে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি সেই সাথে ওই সম্প্রদায়ের মাঝে দেখা দিয়েছে এক ধরনের হতাশা। এ বিষয়ে বাদি চঞ্চল চন্দ্র কর্মকার সহ আরো অনেকে বলেন,গত প্রায় মাস তিনেক আগেই বেশ কয়েকটা আমাদের কাজের ধমকার চামড়া রাতের আঁধারে কেটেছিল দুষ্টপ্রকৃতির কে বা কাহারা। গতকাল আবারও ২৪টি ধমকার দুপার্শের ছিকল চুরি করে নিয়ে গেছে।
পর পর দু’বার এ ধরনের ঘটনায় ক্ষতির কারণে আমরা কর্মকার সম্প্রদায় চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এ বিষয়ে ওই ওয়াডের কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানতে পেরে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই এবং পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ হতে চঞ্চলকে নিয়ে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি। তিনি এখন থেকে ওই পাড়াতে রাতে পাহাড়ার ব্যবস্থা সহ এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পৌর পিতা আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ বলেন, বিষয়টি আমাকে ওই ওয়াডের কাউন্সিলর জানিয়েছেন তবে ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক আক্ষায়িত করে তিনি বলেন তাদের চাহিদা অনুযায়ী ওই পাড়াতে আলোর ব্যবস্থা তো আগেই ছিল,বর্তমানে সেখানে (লাইট) আলো আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহনে আমাদের ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে নির্দেশ দিয়েছি। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন,এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।