বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সোনাতলার মহিচরণ দক্ষিনপাড়া গ্ৰামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ১৬প্রহর ব্যপী লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰাম থেকে আগত ধর্মানুরাগী হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার ভক্তের পদচারণায় শেষ হলো লীলা কীর্তন (হরিবাসর)।
এই বিশাল হরিবাসর প্রাঙ্গনে এসে সু-শৃঙ্খল ভাবে বসে লীলারস কীর্তন শ্রবন করলেন হিন্দু ধর্মানুরাগী ভক্তরা।সরেজমিনে উপজেলার দিগদাইর ইউনিয়নের মহিচরণ দক্ষিনপাড়া হরি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়,শত শত হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মানু্রাগী নারী ও পুরুষেরা অত্যন্ত সুন্দর শান্তপ্রীয় ভাবে বসে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নামী-দামী কীর্তনীয়া ও তার সহযোগিদের মধুর সুরে পরিবেশনকৃত কীর্তন উপভোগ করছেন।
যদিও তাপমাত্রা প্রচন্ড গরম কিন্তু আয়োজক কমিটি গরমের বিষয়টি মাথায় নিয়ে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রচুর ইলেকট্রনিক ফ্যানের ব্যবস্থাও রেখেছিল। তবে কীর্তনের মাঝে মাঝে কীর্তনীয়ার পরিবেশনকৃত কীর্তনের ভাবাবেগে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অশ্রুসিক্ত নয়নে আলিঙ্গন করে। আয়োজক কমিটির সভাপতি বাবু বরেন্দ্র চন্দ্র প্রামাণিক সেক্রেটারি বাবুরাম প্রাং,ক্যাষিয়ার বুদা প্রাং ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিটন চন্দ্র প্রাং সহ অনেকেই জানিয়েছেন,এবার তাদের ১৫তম অধিবেশন চলমান।
২০শে জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ ও মঙ্গল ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ কীর্তন অনুষ্ঠান শুরু হলেও সেটি শেষ হবে আগামী ২৩শে জুলাই রবিবার সকালে। অপরদিকে ওই দিনই দুপুরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ভোগ উৎসব পরে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রাসাদ বিতরণ করা হবে। পরের দিন সোমবার দধি মঙ্গল ও মহন্ত বিদায়ের মধ্য দিয়ে এবারের ১৬প্রহরব্যপী লীলারস কীর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।
তেমনি এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ওই গ্ৰামে সাজ সাজ রব পড়েছে এ উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে এসেছে দুর-দুরান্ত থেকে তাদের নিকট অত্নীয়-স্বজন। উক্ত অনুষ্ঠানে লীলারস কীর্তন পরিবেশন করেন, সাতক্ষীরা জেলার শ্রী হরিদাস সরকার, ময়মনসিংহের শ্রী রাধারাম দাসাধিকারী, বগুড়ার শান্তি রানী, জেলার সোনাতলার সম্পা রানী,নওঁগা জেলার শ্রী প্রেমানন্দ হালদার প্রমুখ।
এদিকে মহিচরণ দক্ষিনপাড়া হরি মন্দির প্রাঙ্গণে হরিবাসর(কীর্তন)অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ধান চাল ব্যবসায়ী বাবু নিরঞ্জন চন্দ্র রায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দিগদাইর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ও সমাজ সেবক শ্রীদিলিপ কুমার রায়, উপজেলা হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক শ্রী অসিত কুমার কুন্ডু, মানবাধিকার কর্মী শ্রীবিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী সুশান্ত চন্দ্র কর্মকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা চঞ্চল চন্দ্র রায়।