মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) নাম অপরিবর্তিত রেখে ইতিহাস অথবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রিতে পরিবর্তনের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের গেইটে অবস্থান নেয়।
রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ৫৭ দিন ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগ।
বাংলাদেশে ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল্যাহ আল মামুন সাব্বির জানান, আজ সকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে ইতিহাস অথবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রিতে পরিবর্তনের দাবিতে নোবিপ্রবির শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন চলাকালীন কিছু সময়ের জন্য প্রধান ফটকে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের গেইটে অবস্থান নেয়। মানববন্ধন শেষে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবদুল বাকী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ডেকে নেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে অবগত করেন। পরে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগ হতে উত্তীর্ণ হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা চাকুরীর ক্ষেত্রে বৈষম্য ও যথাযথ চাকরি না পাওয়ায় বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে ইতিহাস অথবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ নাম করণের দাবিতে সম্প্রতি নোবিপ্রবির ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশে ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু দিন আগে (বিএমএস) নাম অপরিবর্তিত রেখে ইতিহাস অথবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রিতে পরিবর্তনের দাবিতে আবেদন করে। এই জন্য আমাদের একাডেমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি থেকে আমরা একটা সুপারিশ করেছি। আমাদের সিন্ধান্ত ছিল সুপারিশ গুলো ইউজিসিতে সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করব। পরে ইউজিসিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে ওই চিঠিতে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি যায়নি। এজন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছে। তারা বলেছে এটাই হচ্ছে তাদের মানববন্ধনের কারণে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকী বলেন, আমরা পূর্বে ইউজিসিতে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা সেই চিঠি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের চাওয়া অনুযায়ী নতুন একটি চিঠি ইউজিসিতে পাঠাব।