এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা):
খুলনার পাইকগাছায় হরিঢালী ইউপির সদস্য বিষ্ণুপদ রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরীত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এর আগে হামিদা বেগম নামে এক ভুক্তভোগী ইউপি মেম্বর বিষ্ণু’র বিরুদ্ধে মুজিব বর্ষের ঘর দেয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয়ার লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাইকগাছা দপ্তরে জমা দেন।
এ খবর বিভিন্ন দৈনিক আঞ্চলিক পত্রিকা সহ অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশের পর ভুক্তভোগী সহ সাধারন মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এক পর্যায় এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রীর একান্ত সচিব, খুলনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যা নিন্মরূপ; অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের আমরা সাধারন মানুষ। সম্প্রতি ইউনিয়নে তৃতীয় দফায় ভূমিহীন অসহায় মানুষের মাঝে মুজিববর্ষের ঘর প্রদান করা হয়। এক্ষণে উত্তরসলুয়া গ্রামের শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিষ্ণুপদ রায় একাধিক অসহায় ও ভূমিহীন খেটে খাওয়া মানুষের কাছ থেকে মুজিবর্ষের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। যা নিয়ে হামিদা বেগম নামে একজন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
শুধু তাই নয়, এলাকায় আরো অনেকের কাছ থেকে এরূপ অর্থ বাণিজ্য করার বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে একজন জনপ্রতিনিধির এরূপ কাজ একেবারে অনৈতিক ও সমাজ বিবর্জিত। তিনি এমন কাজটি করে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যকে রীতিমতো বিতর্কিত ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন বলেও মনে করেন তারা। ইতোমধ্যে মুজিববর্ষের ঘর দেয়ার নামে অর্থ বাণিজ্যের বিষয়ে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকা, বার্তাসংস্থা, নিউজ পোর্টাল সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ইউপি সদস্য বিষ্ণুপদ রায় মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অর্থ হাতানো স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদ নীতিমালা পরিপন্থী বিধায় অত্র দরখাস্ত। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি সদস্যের অনৈতিক খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন মানবাধিকার কর্মী মো. মশিউর রহমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য বিষ্ণুপদ মামলায় ফাঁসানোসহ থানায় জিডি করেন। মুজিববর্ষের ঘর নিয়ে অর্থ বাণিজ্য করা ইউপি সদস্য বিষ্ণুপদ রায়ের অনৈতিক কর্মকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান এলাকাবাসী সহ সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান।
অর্থ বাণিজ্যসহ এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য বিষ্ণুপদ রায় মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না, তাই কোন প্রতিক্রিয়া নেই।