• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাঁশখালীতে ৬৪৫ বোতল বিদেশী মদ জব্দ, গাড়ি সহ গ্রেফতার-০৩ রেড ব্রিজ স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্লাশ পার্টি ও জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমতলীতে অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতি নোয়াখালীতে নিখোঁজের ১০ দিন পর খালে মিলল বেদের মরদেহ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রথমবার সচিবালয়ে বৈঠকে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত নবলোক ও ওয়াটার এইড এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে “Gender Transformative WASH” বিষয়ে প্রধান শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ‘চক্ষুসেবায় নারীদের অভিগম্যতা নিশ্চিৎকরণ’ বিষয়ক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ার গোনালী একটি পতিত জমিতে জাতীয় ফুল শাপলা স্মৃতির আসনে জায়গা নিয়েছে

এবারের এক দফার আন্দোলনে তরুণদেরকে রাজপথে নামতে হবে-বগুড়ায় মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ায় লাখো তারুণ্যের মহাসমাবেশে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদানের দাবী জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার শুধু দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র লুট করেছে। তিনি হারানো ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তরুণদেরকে এক দফার আন্দোলনে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

সোমবার বিকেলে বগুড়া সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রিয় সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রিয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবী করলেও তারাই বারবার মহান মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলন্ঠিত করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার করেছে। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। তারা ২০০৯ সালের নির্বাচনে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে গণতন্ত্র গলাটিপে হত্যা করেছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট করে খাচ্ছে। তারা মুখে উন্নয়নের কথা বললেও শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদেরই উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে ১০টাকা কেজি চাউল এবং ঘরে ঘরে চাকরি দিতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু এখন মানুষ চাউল কিনতে দিশেহারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মানুষের জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামীলীগের সাইনবোর্ড না থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। ফলে দেশে বেকার সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গী জাতীয় পার্টির নেতারাও এখন বলছেন এই বাজেট বড়লোকদেরকে আরও বড় করবে। এটা বড়লোকদের বাজেট। এই বাজেট দেশের সাধারন মানুষের জন্য নয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার এখন দিশেহারা হয়ে আবোল তাবোল বকছে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থেকে এসেই প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। তিনি বলছেন একটি দেশ নাকি তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। অঅবার তিনিই বলছেন, কাউকে ভয় পান না। তারা মুখে বলছে ভিসা নীতিতে ভয় পায় না, কিন্তু তাদের নেতাদের কথাবার্তায় বুঝা যায় তারা কতটা ভীত-সন্ত্রস্ত। এখন তারা বলছে- তারাও নাকি ভিসা নীতি করবে। আসলে আওয়ামীলীগ অগোছালো হয়ে গেছে। কী করবে কুল-কিনারা পাচ্ছেনা। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকেও নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। তারা আজো তিস্তা চুক্তি করতে পারেনি। ফলে অসময়ে ভারত তিস্তার গেট খুলে দিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলকে বন্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সমাবেশে উপস্থিত লাখো তারুণের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এই তরুণরাই ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন করেছে। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ৯০-এ গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এবার দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তরুণদেরকে আরেকবার রাজপথে নামতে হবে। মনে রাখতে হবে এই লড়াই বিএনপির একার লড়াই নয়। এটা গোটা জাতির লড়াই। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই লড়াইয়ের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামীলীগরে সমালোচনা করে তিনি বলেন, তত্তাবধায়ক সরকারের দাবীতে শেখ হাসিনা ১৭৩দিন হরতাল করেছিলেন। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণ মেনে নিয়েছিল। অথচ এখন তিনি সেই তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পান। তিনি অবিলম্বে জনগণের দাবী মেনে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান।

বিএনপি মহাসিচব বলেন, সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর বন্দী করে রেখেছে। মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকে দেশ ছাড়া করেছে। এই সরকারের আমলে ৬০০ নেতাকর্মিকে গুম করেছে, শত শত নেতাকর্মিকে হত্যা করেছে। ৪০ লক্ষ নেতাকর্মির নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে এসব জুলুম-নির্যাতনের বদলা নেয়ার জন্য তিনি তরুণদের প্রতি আহবান জানান। সমাবেশে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় ও বিভাগীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই দলে দলে তরুণরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে থাকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। স্কুল মাঠে লোক সংকুলান না হওয়ায় মাঠের বাইরের বিভিন্ন রাস্তায়, বাড়ীর ছাদে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে নেতাদের বক্তব্য শোনেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ