মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানাধীন চাষীরহাট ইউপির রথী গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক (৭৬), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, সাং-রথী, ০১নং ওয়ার্ড (ভুঁইয়া বাড়ী, ০৩নং চাষীরহাট ইউপি, থানা- সোনাইমুড়ী, জেলা- নোয়াখালীকে প্রতিবেশী এজাহারনামীয় আসামী ১। মোঃ মাসুদুর রহমান (৪০),২। মাকসুদুর রহমান (৩৮), উভয় পিতা- সোলাইমান ভুঁইয়া, ৩। জেসমিন আক্তার (৩৭), স্বামী- মাসুদুর রহমান, ৪। সুমি আক্তার (২৬), স্বামী-মাকসুদুর রহমান, সর্ব সাং-রথী, ০১নং ওয়ার্ড (ভুঁইয়া বাড়ী, ০৩নং চাষীরহাট ইউপি, ৫। রুনু আক্তার (৪৩), পিতা- সোলাইমান, সাং-রথী, মধ্যম পাড়া, (ইব্রাহিম পন্ডিত বাড়ী), ০১নং ওয়ার্ড, ০৩নং চাষীরহাট ইউপি, ৬।
সোলেমান ভুঁইয়া (৬৫), পিতা- মৃত আব্দুর রহমান, সাং- রথী (ভুঁইয়া বাড়ী), ০১নং ওয়ার্ড, ০৩নং চাষীরহাট ইউপি, সর্ব থানা-সোনাইমুড়ী, জেলা-নোয়াখালীগণ লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।
গত ০৩ মে সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিলো। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার নোয়াখালী মোঃ শহিদুল ইসলাম, পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় চাটখিল সার্কেল জনাব নিত্যানন্দ দাস এর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ সোনাইমুড়ী মোঃ জিয়াউল হকের নেতৃত্বে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় ০২নং আসামী মাকসুদুর রহমান (৩৮), পিতা-সোলাইমান ভূঁইয়া, সাং-রথী, ০১নং ওয়ার্ড (ভুঁইয়া বাড়ী, ০৩নং চাষীরহাট ইউপি, থানা- সোনাইমুড়ী, জেলা-নোয়াখালীকে শরীয়তপুর জেলাধীন জাজিরা থানা এলাকা থেকে গত ১০ মে তারিখে গ্রেফতার করা হয় এবং এজাহারনামীয় আসামী সুমিকে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) জিয়াউল হক ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন ধৃত আসামীরা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।ভিকটিমকে মারধরের একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। এই হত্যাকান্ডের পরবর্তীতে ভিকটিমের ছেলে ওসমান গণি (৩৩) বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিলে সোনাইমুড়ী থানাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার পর থেকে আসামীদ্বয় অপরাপর আসামীদের সহিত পলাতক হয়ে যায় এবং ২নং আসামী শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকায় নিমার্ণ শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলো।