মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) সকালে সোনাইমুড়ী উপজেলার রথী গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধের নাম এনামুল হক।
নিহতের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী সোলাইমান ভূঁইয়ার সাথে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিভেদ চলছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আজ সকালে উঠানের গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে সোলাইমান ভূঁইয়ার সাথে এনামুল হকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোলাইমান ও তার ছেলে মাসুদ সহ চারজন এনামুলের ওপর হামলা করে। এসময় লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলে বৃদ্ধ এনামুলের মৃত্যু হয়।
এঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী নিহতের বোনের মেয়ে বলেন, আমি তখন বাসার সামনের বাগানের ভেতর মোবাইলে কথা বলছিলাম। একটু পরে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলে তাকিয়ে দেখি সোলাইমান ভূঁইয়া, তার ছেলে মাসুদ, জেসমিন ও সুমি মিলে আমার মামাকে মারধোর করছে। আমি ওদের হাত থেকে মামাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছিলাম। ওরা চারজন যে যেমনভাবে পারছে তেমন ভাবে মামাকে মারছিলো। এসময় সোলাইমান তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার মামাকে মারতে থাকে। পরে তার হাত থেকে লাঠি নিয়ে মাসুদ আমার মামাকে মারা শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির সবাই এসে মামাকে উদ্ধারের চেষ্ট করে। এসময় মামা ওখানে পড়ে মারা যান।
চাষীরহাট ইউনিয়নের মহিলা মেম্বর জানান, অনেক আগে থেকেই এই দুই পরিবারের মাঝে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শালিস-মিমাংসা করেও সমাধান করা যায় নি। পরে তা নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। আজকে বিবাদমান জমির ডেউয়ো গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনার সূচনা হয়। পরে মারামারিতে বয়স্ক এনামুল হক নিহত হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় চাটখিল-সোনাইমুড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক জানান, মূল আসামিরা ঘটনার পরেই পলাতক রয়েছে। তবে পুলিশ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।