• বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নোয়াখালীতে অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন সুবর্ণচরে অ্যাম্বুলেন্স ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাক চাপায় তরুণের মৃত্যু জগন্নাথপুরে প্রবাসী শুবা চৌধুরীর কেয়ারটেকারের নিকট চাঁদা দাবী, হামলা, থানায় মামলা দায়ের সিএমপির ডবলমুরিং থানার বিশেষ অভিযানে লুন্ঠিত গুলি উদ্ধার নোয়াখালীতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে মরল ৩ গরু জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন,র মতবিনিময় ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত আমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বসত ঘর সহ ১২টি দোকান পুড়ে ছাই নোয়াখালীতে পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি ও ৪ দোকানে চুরি নোয়াখালীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যুবকের আত্মহত্যা জগন্নাথপুরে সুন্নিয়া ক্বাদরিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

ডুমুরিয়ার মাল্টা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রিয় হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে;

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। এই উৎপাদিত মাল্টা এখানকার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এই উপজেলার উৎপাদিত মাল্টা খুবই সুস্বাদু ও রসালো। মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় রসালো ফল মাল্টার চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা ঘুরে মাল্টা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে মাল্টার গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণ মাল্টার ফলন হয়েছে। মাল্টার বাগানে গাছে গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা শোভা পাচ্ছে।

প্রতিটি গাছে এতই বেশি মাল্টা ধরেছে যে, ফলের ভারে গাছের ডালগুলো মাটির দিকে নুয়ে পড়েছে। আর এই মাল্টা চাষেই খুলছে এই উপজেলার মানুষের ভাগ্যে চাকা। দূর-দূরান্ত হতে মাল্টা বাগানে ব্যবসায়ীরা আসছেন মাল্টা কেনার জন্য। বর্তমানে এই মাল্টাগুলো স্থানীয় বাজারগুলোতে ১শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ৩ হাজার টাকা মণ দরে বাগান হতে মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনি একটি চিত্র চোখে পড়ে উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের থুকড়া গ্রামে। এই গ্রামের মাল্টা চাষি সেলিম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার সহযোগিতায়

২০০০ সালে ২০শতক জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে তুলি। গত বছরে ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে পাইকাররা ১০০শত  টাকা দাম কমে বিক্রি করবেন না বলেছেন,  তিনি ৫০হাজার টাকার মাল্টা বিক্রির দাবি করছেন। ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসার   সাবেক ইউ’পি চেয়ারম্যান জি এম আমানুল্লাহ, জানান, তাদের উৎপাদিত পাকা মাল্টা উত্তোলন করা শুরু হয়েছে। তাদের উৎপাদিত মাল্টাগুলো বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

মাল্টা চাষ করে তারা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এই উপজেলার মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় দিন দিন এই উপজেলায় মাল্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকার মাল্টা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে কুমারেশ মন্ডল নামে এক মাল্টা চাষি সরাফ পুর ইউনিয়নে কালিকাপুর দত্ত ডাঙ্গায় ১শ’ শতক জমিতে মাল্টার বাগান লাগানো শুরু করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ