এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকেঃ
দক্ষিন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠণ পুঁইছড়ী আদর্শ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে যুবসমাজকে স্বচ্ছ ও সুস্থ সাংস্কৃতিক ধারায় ফেরাতে ৩৬ জুলাই স্মরনে ‘দ্রোহের গান’ শীর্ষক জমজমাট কাওয়ালী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রচুর সংখ্যক দর্শক স্রোতা সুন্দর মন মাতানো এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেছে।
১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত পুঁইছড়ী প্রেমবাজার চত্বরে আয়োজিত সুন্দর সুশৃংখল সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সভাপতিত্ব করেন পুঁইছড়ী আদর্শ সমাজকল্যান পরিষদের সভাপতি ছাত্রনেতা মোহাঃ আলী হোছাইন। পরিষদের সেক্রেটারি প্রকৌশলী মোঃজিয়াবুল হক মানিকের সঞ্চলনায় ৩৬শে জুলাই স্মরণে দ্রোহের গান ও বর্ণাঢ্য কাওয়ালী ও ইসলামী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের নেতা বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মওলানা জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা জনাব, ওসমান গণি সিকদার, হাফেজ মওলানা আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও তাওহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় আকাশ সংস্কৃতির ভয়াল থাবা ও অবাধ সোস্যাল মিডিয়ার যুগে যখন যুব সমাজ দিশেহারা, যুব ও কিশোর সমাজের চরিত্র হননের সব আয়োজন অবাধ উম্মুক্ত ঠিক এ মুহুর্তে পুঁইছড়ী আদর্শ সমাজকল্যান পরিষদের সুন্দর বিশাল এ আয়োজন নিঃসন্দেহে সমাজে সুস্থ ও স্বচ্ছ সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখবে। তিনি সদ্য পতীত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, শতকরা ৯০ জন মুসলমানের দেশে স্বৈরাচারী সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ধ্বংস করে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপসংস্কৃতি চর্চ্চার মহা আয়োজন করেছিল, কিন্তু আল্লাহ তা সহ্য করেনি। ইসলামী সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি স্হানীয় ও আন্তর্জাতিক মানের শিল্পীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য এই আয়োজনের জন্য আদর্শ সমাজকল্যান পরিষদের ভুয়সি প্রসংশা করেন।
উল্লেখ্য বাদে এশা থেকে জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী ওবায়দুল্লা তারেক, এড জুনায়েদ শিবলি, কাওয়ালিয়ান কাদের আল নেওয়াজ অভিনেতা হাফিজুল ইসলাম, পাটোয়ারী , আবু সাদেক নোমানী ও আইয়ুব হেলালী সহ পুইছড়ি ইউনিয়নের শিল্পীদের পরিচালনায় উপভোগ্য কাওয়ালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে শত শহস্রাধিক কিশোর, যুবক সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পিন পতন নীরবতায় মনোজ্ঞ এ আয়োজন উপভোগ করেন।