শার্শায় সংখ্যালঘুরা নিরাপদ ও ধর্মীয় উপসানালয় সুরক্ষিত: সাবেক সংসদ সদস্য তৃপ্তি
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে দেশে সংখ্যলঘুদের উপর ব্যাপক অত্যাচার শুরু হয়েছে এমন বিভ্রান্তিকর খবর প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শার্শার সর্বস্থরের সংখ্যালঘুরা নিরাপদ ও ধর্মীয় উপাসনালয় সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন শার্শার সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি। উপজেলাব্যাপী দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জেরে এহেন ঘৃনীত অপপ্রচারের নিন্দা জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলনের ১দফা দাবীর মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর স্থাপনায় দর্বৃত্তদের হামলার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও শার্শার সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তির নির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় পরিদর্শন করেন গণমাধ্যধকর্মী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শার্শা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার পৌরসভার বেনাপোল হরিদাশ ঠাকুরের পাঠবাড়ী মন্দির,পেঁচোর বাওর,ছোটআঁচড়া সহ উপজেলার শার্শা পান্তাপাড়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দির,উলাসী কালী মন্দির,বাঁগআচড়া সর্বজনীন পূজা মন্দির, গোগা সর্বজনীন দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন গণমাধ্যমকর্মী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় তারা এলাকার সাধারন জনগন মন্দির পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সহিত মত বিনিময় সহ সংখ্যালঘুদের বসত বাড়ীতে গিয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নেন। এসময় উপজেলার কোথাও কোন অপ্রিতীকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নী। তবে শার্শায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর হামলা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন কালে গোগা পশ্চিম সার্বজনীন দূর্গা মন্দির এর সভাপতি আনন্দ পাল জানান,ভারত সীমান্ত ঘেষা এলাকাটিতে তারা অত্যান্ত নিরাপদ পরিবেশে জীবন যাপনসহ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করছেন। অদ্যবধী কোন প্রকার অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনী বা কেউ হুমকী ধামকীও দেইনী।
বাগআঁচড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী গোবিন্দ মজুমদার জানান,তাদের এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। মফিকুল হাসান তৃপ্তির এলাকা হওয়ার সুবাধে বিএনপির নেতা কর্মীরা সব সময় খোঁজ খবর রাখছেন।
ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের মন্দির পরিদর্শন করেছেন ও প্রয়োজনে যোগাযোগের নাম্বার দিয়ে গেছেন। শার্শা পান্তা পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি দিলিপ সরকার জানান,গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হতে আজ পর্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘুদের সাথে কোন সহিংস বা হামলার ঘটনা ঘটেনী। গ্রামের মুসলিম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছেন।
বিজিবির পক্ষ হতে তাদের সার্বিক নিরপত্তা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন। শার্শা উপজেলায় সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বাভাবিক জীবন যাপনসহ নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এমপি জনাব মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, নবরুপ পাওয়া দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতায় দেশের ছাত্র সমাজের অবদান আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। এখন এ স্বাধীনতাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আমার আপনার সবার।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কারো বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার হামলা করবেন না। সহিংসতা কারীদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী তারা বিএনপির কেউ না। তিনি আরো বলেন, এখন আমাদের সবার দায়িত্ব দেশের সকল শ্রেনীর সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আর এরপরও যদি কেউ কোন প্রকার অপচেষ্টা চালায় তাহলে তাদের নাম ও পরিচয় আমার কাছে দিবেন আমি সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে তাদেরকে নির্মূল করে ছাড়বো।