বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় গতকাল জেলা কারাগার হতে ৪ (চার) জন মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদি পলায়নের পর জেলা পুলিশের চৌকস দল সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে পলাতক ওই ৪ (চার) জন মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদিকে আটক করে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক সুদীপ চক্রবর্তী বিপিএম,পিপিএম। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়,পুলিশী জীবন সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তায় ঘেরা। হঠাৎ অনিশ্চয়তার তীব্র ঢেউ আছড়ে পরে দিনের অবাধ চাঞ্চল্য কিংবা রাত্রির গভীর নির্জনতার ভীড়ে।
এই ঢেউকে সামাল দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা সমুন্নত করণে বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যরা সর্বোচ্চ সক্ষমতা,নিষ্ঠা,পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে গতকাল গভীর রাতে সংঘটিত এমনি একটি সম্পূর্ণ চাঞ্চল্যকর,অভূতপূর্ব,অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত,বিরল ঘটনা জেলা পুলিশ বগুড়ার সুদক্ষ,পরিশ্রমী, নিবেদিত সদস্যরা সর্বোচ্চ দায়বদ্ধতার পরিচয়ে তড়িৎগতিতে পদক্ষেপ নিয়ে প্রশমন করে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়,গতকাল গভীর রাতে বগুড়া জেলা কারাগারে আটক ৪(চার) জন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদি প্রিজন সেলের ছাদ ফুটো করে সুউচ্চ প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা অবহিত হওয়ার সাথে সাথেই সদর থানার সকল টহলদলকে তাৎক্ষণিক বেতারবার্তার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়।
বিভিন্ন কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এক পর্যায়ে সদর ফাঁড়ির একটি টহলদল অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা,দক্ষতা ও ক্ষীপ্রতার সাথে জেলা কারাগার সংলগ্ন করতোয়া নদীর ঠিক ওপারে চাষীবাজার হতে ৪ জন মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত কয়েদিকেই বার্তা পাওয়ার ঠিক ১৪মিনিটের মধ্যে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এই অভিযানে সরাসরি অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন,ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রেস ব্রিফিংয়ে। উল্লেখ্য সম্প্রতি সময়ে বগুড়ায় খুনের ঘটনা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এধরনের ঘটনা জানাজানি হলে জনমনে কিছুটা আতংকের সৃষ্টি হয়।