চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মাতবর পাড়া সমাজ সর্দার কমিটি প্রতি বছরের মত এ বছরও সামাজিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় পাড়ার নিম্ম আয়ের প্রায় সাড়ে ৩ শত পরিবারে কোরবানীর মাংস বিতরন করে দৃষ্ঠান্ত সৃষ্ঠি করেছে। রাজাখালী মাতবর পাড়ার এ ঐতিহ্য দীর্ঘ কয়েক যুগের।
১৭ জুন’২৪ ইং পবিত্র কোরবানীর দিনে মাতবর পাড়া সমাজ পরিচালনা সর্দার কমিটি নেতা প্যানেল সর্দার সাংবাদিক মোঃ দিদারুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিকল্পনায় পাড়ার নিম্ম আয়ের পরিবার, যারা কোরবানীর দিন মুলতঃ নিজেরা কোরবানী দিতে পারেনা তাদের সকলের মধ্যে প্রতি পরিবারে ৩ কেজি করে প্রায় ১০৫০ কেজি গরুর মাংস বিতরন করা হয়। এসময় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, পাড়ার প্রধান সর্দার আবুল হাশেম, প্যানেল সর্দার আব্দুল মাবুদ, আবুল হাশেম, বদিউল আলম, আব্দুল জব্বার, মোহাম্মদ হোছাইন, আহামদ কবীর, সৈয়দুল আলম ও রশিদ আহামদ।
সাংবাদিক দিদারুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ কয়েক যুগ থেকে আমার বাপ দাদারা এ সমাজের সর্দার হিসাবে সুন্দর সুশৃংখলভাবে মাতবর পাড়া পরিচালনা করে এসেছেন। তারই ধারাবাহিতায় আমাদের সমাজে এখনো পর্যন্ত পাড়ার জনগোস্টির যেকোন সমস্যা সমাধানে সর্দার কমিটি সমাধান দিয়ে থাকে। এমন কি ধর্মিয় যেকোন উৎসবেও পাড়ার কোন পরিবার বা মানুষ যাতে আনন্দ উৎসব থেকে বঞ্চিত না হয় সে রীতি চালু আছে। সাংবাদিক দিদার আরো জানান, ‘আমাদের সমাজে প্রায় ৪৭০ টি পরিবার রয়েছে।
যার মধ্যে শতাধিক ব্যক্তি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানী দিয়েছে। যাদের পশুর মাংস ৩ ভাগ করে ১ ভাগ সর্দার কমিটিতে জমা দেন। সে মাংস যারা কোরবানী দিতে পারেনি তাদের মধ্যে সম পরিমানে মাংস বন্ঠন করে বিতরন করা হয়। এ বছর প্রায় সাড়ে ৩ শত পরিবারে হাজারের অধিক কেজি মাংস বিতরন করা হয়েছে।’ পবিত্র ঈদুল আজাহায় সৈয়দ মাতবর পাড়ার একটি পরিবারও মাংস ছাড়া থাকেনি। প্রত্যেকে পাড়ার সর্দার কমিটি থেকে মাংস পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসাথে আনন্দোৎসবে মেতেছেন। সৈয়দ মাতবর পাড়ার এ ঐতিহ্যবাহী রীতি পুরো উপজেলায় বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত।
এসময় আরো যারা সহযোগীতা করেছেন, তারা হলেন, এহছানুল হক, ইউনুস গনি মাতবর, জাহাঙ্গির আলম, তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখঃ।