এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী চট্টগ্রাম থেকেঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রাচীণতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলদী হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা প্ররিচালনাধীন কিন্ডারগার্টেন (নূরানী বিভাগ)’র শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান ও অবিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর’২৩ ইং শনিবার সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা হলরুমে বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা কুতুবউদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, জলদী আত্বতহুর কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী মাওলানা মোবারক হোসাইন আসিফ, মাওলানা শিব্বির আহমদ,মাওলানা রিদুয়ান, মাওলানা আজিজুর রহমান,মাওলানা আরশাদ, মাওলানা রেজাউল আজিম, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ জাফর আহমদ।
অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের উপস্থিতিতে ২০২৩ সালের বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা হয়। প্লে শ্রেণীতে, ৬৩৬ নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে জুলফিকার আলী কিবরিয়া, ৬৩০ নাম্বারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে, আব্দুর রহমান মক্কী, ৬০৯ নাম্বারে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মোঃ সাঈদ হোসেন। নার্সারী শ্রেণীতে, ৭৩১ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাকরীমুল ইসলাম, ৭২৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মাহমুদুল হাসান, ৭০৩ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মুহাম্মদ আফনান।
প্রথম শ্রেণীতে ৯৩৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে গাজী এম আল সাইমা রশিদ, ৯১৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মাহমুদুল হাসান, ৮৭৮ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৯০৯ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মুতমাইন্না খানম ত্বহা, ৮৬৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে তাসমিনা সোলতানা শাহীন, ৮৩২ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে উম্মে হানি মারিয়া। তৃতীয় শ্রেণীতে ১০১৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আমাতুল্লাহ তাসনীম, ৯৮১ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে আয়েশা সিদ্দিকা নিহা, ৯৬১ নম়্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ইশফাতুল জান্নাত ইতু।
প্রধান অতিথি শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিভাবকাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে ভালো চাকরি পাবেনা এ ধরনের কুপ্রথা একদম ভুল। তবে আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষায় দুদিকে লাভ প্রথমত লাভ হচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া যায়, দ্বিতীয়ত লাভ হচ্ছে, ভালো করে লেখাপড়া করে সরকারি সার্টিফিকেট অর্জন করে ভালো চাকরির আশা করা যায়। আমাদের দুনিয়া আখেরাত দুটাই ঠিক রাখতে হবে। আমাদের চোখের সামনে পৌরসদরেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কিন্তু সবার চেয়ে আমাদের লেখাপড়ার মান আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো এবং বেতন ও ভর্তি ফিঃ অনেক কম। আপনাদের আশপাশের গরীব অসহায় মিসকিন ছাত্র ছত্রী যারা খরচের জন্য লেখাপাড়ায় অবহেলিত তাদের আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসবেন। আমরা যতটুকু পারি ছাড় দিয়ে সুযোগ করে দিবো ইনশাআল্লাহ।
রশিদিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবু বকর আশরাফীর মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।