মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালীর সুধারাম থানার সোনাপুর বিসিক শিল্প নগরীর “ভাই ভাই ফাউন্ড্রীতে গত ১২মার্চ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.টার সময় একদল ডাকাত পুরাতন ব্যাটারি কারখানার গেইট খুলে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করিয়া কারখানায় কর্মরত লোকজনদের এসএস পাইপ দিয়া এলোপাতাড়ি মারধর করিয়া জখম করে।
আসামীরা একপর্যায়ে কারখানার ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখাইয়া তাদেরকে কারখানার একটি রুমের ভিতর আটক করিয়া রাখেন। ১২ মার্চ সন্ধ্যা ০৭টা হইতে রাত ১০টা মধ্যবর্তী সময়ে কারখানায় পূর্ব থেকেই মজুদকৃত আনুমানিক ৪০০ পিচ পুরাতন ব্যাটারি এবং ৪২০ পিচ ব্যাটারির শীসা (অনুমান ওজন ১০ টন ৬০০ কেজি, যাহার সর্বমোট মূল্য-অনুমান ৬৫,০০,০০০/-(পঁয়ষট্টি লক্ষ) টাকা, কারখানা হইতে বাহির করে কাভার্ড ভ্যানে করিয়া নিয়া যায়। উক্ত ঘটনায় কারখানার মালিক মোঃ লিটন শেখ (৩৫) এর দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
নোয়াখালী জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় সুধারাম থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম এসআই (নিরস্ত্র) স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ এর নেতৃত্বে প্রস্তুত হয়ে মামলার ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করেন। ডাকাতদল খুবই চতুরতার সহিত মামলার ডাকাতির ঘটনা সংঘটন করিয়াছিল। ঘটনায় ভিকটিম সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে অজ্ঞাতনামা ডাকাতচক্রকে চিহ্নিত করার মতো কোন ক্লু পাওয়া যায় নাই।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ তদন্তকালে নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, ফেনী, চট্টগ্রাম সড়কের ২৫০টির উপর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় ব্যবহৃত ডাকাতদলের কাভার্ড ভ্যান সনাক্ত করে। এসূত্রকে ভিত্তি করে সুধারাম থানার উক্ত চৌকস টিম দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হইতে অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,ক) মোঃ জাকির হোসেন (২০), পিতা-মৃত বাহার উল্যা, মাতা-জহুরা বেগম, সাং-মীরওয়ারিশপুর, থানা-বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী। খ) মোঃ শহিদ (৩৫), পিতা-মৃত আবদুল কাদের গোমস্তা, সাং-পতিহার, থানা-আগৈলঝারা, জেলা-বরিশাল, বর্তমান সাং-পোলপার বড়তলা, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা। গ) মনির হোসেন @ মনির গোমস্তা (৩৩), পিতা-মৃত মোকসেদ আলী গোমস্তা, সাং-পতিহার, থানা-আগৈলঝারা, জেলা-বরিশাল, বর্তমান সাং-সাদেক খান পানির পাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।
ঘ) মোঃ শাহাব উদ্দিন (৪৫), পিতা-রতন চৌকিদার, সাং-উত্তর মাদ্রাস, ৮নং ওয়ার্ড, থানা-চরফ্যাশন, জেলা-ভোলা, বর্তমানে সাং-পূর্ব বক্সনগর, সারুলিয়া, রাণী মহল, ৬৭নং ওয়ার্ড, থানা-ডেমরা, জেলা-ঢাকা। ঙ) মোঃ আরিফ (২৪), পিতা-শহিদ, সাং-মধ্য ভেদুরিয়া, থানা-ভোলা সদর, জেলা-ভোলা, বর্তমানে সাং-পূর্ব বক্সনগর, সারুলিয়া, রাণী মহল, ৬৭নং ওয়ার্ড, থানা-ডেমরা, জেলা-ঢাকা।
ঘটনায় ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামালের মধ্যে ৩৩২ পিচ পুরাতন ব্যাটারি ও ৭০ পিচ শীশার কড়াই বাটি উদ্ধার করা হয়।