মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গলায় গামছা প্যাঁচানো এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ১০ জুলাই সোমবার নিহত মোহাম্মদ করিম (২৫), পিতা-মোঃ বেলাল উদ্দিন, মাতা- সাহেদা বেগম, সাং- মন্নান নগর ৯ নং ওয়ার্ড, ০২ নং চানন্দী ইউপি, থানা-হাতিয়া জেলা-নোয়াখালী ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালাইয়া জীবিকা নির্বাহ করতো।
সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৯ জুলাই দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে বাড়ী হইতে মোটর সাইকেল নিয়া বের হয় এবং মোটর সাইকেল ভাড়া চালাইয়া রাত্র হইলে চানন্দী এ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক বাজারের (প্রকল্প বাজারে) তাহার চাচার হোটেলের সামনে অবস্থান করাকালীন সময়ে গত ০৯জুলাই রাত অনুমান ১২ টার সময় ০২ (দুই) জন যাত্রী নিয়ে চেয়ারম্যান ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
রওয়ানা দেওয়ার পূর্বে মোবাইল ফোনে তাহার স্ত্রীকে বলে যে, আমি যাত্রী নিয়া চেয়ারম্যান ঘাটের দিকে যাচ্ছি তাহাদেরকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসবো। দীর্ঘ সময়ে মোহাম্মদ করিম বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাহার মোবাইলে কল দিয়ে দেখা যায় ফোন বন্ধ।
তাহার পরিবারের লোকজন তাহাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করিয়া কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই।পরবর্তীতে ১০জুলাই সকাল ০৬ টার দিকে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমের মৃত দেহ চরজব্বর থানাধীন পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের তানিসা ফিশারিজ প্রজেক্টের পার্শ্বে বাশঁখালী সুইজ গেইট এলাকার খালের ভিতর পড়ে থাকতে দেখিয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে চরজব্বর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়া মৃতদেহ উদ্ধারপূর্বক সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
তাহার ব্যবহৃত কালো সিলবার প্লাটিনা মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায় নাই। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে চরজব্বর থানায় এজাহার দায়ের করিলে ইহার তদন্তভার এস আই (নিঃ) আমিনুল ইসলাম পাটোয়ারীর উপর অর্পন করা হয়।
অত্র মামলা রুজু হওয়ার পর নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার, সরাসরি তত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বেগমগঞ্জ সার্কেল এবং অফিসার ইনচার্জ, চরজব্বর থানার নেতৃত্বে চরজব্বর থানার অফিসার ফোর্সের সমন্বয়ে মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন, মোটর সাইকেল উদ্ধার এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের নিমিত্তে একাধিক টিম গঠন করা হয়। চরজব্বর থানা এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী হাতিয়া থানা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করিয়া মামলার ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ধৃত ২ জন আসামীর মামলার ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
ধৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ পূর্বক রিমান্ডের আবেদন প্রেরণ করা হইতেছে। পরবর্তীতে তাহাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন
১/ মোঃ জসিম উদ্দিন (পারভেজ) (২৮), পিতা-মোঃ আব্দুর রহমান, মাতা-মোসাঃ বিবি ফাতেমা,সাং- বয়ারচর, ৮নং ওয়ার্ড,১নং হরনী ইউপি, থানা- হাতিয়া,জেলা-নোয়াখালী।
২/আক্তার হোসেন (৩২), পিতা- মোঃ নিজাম উদ্দিন, মাতা-ছকিনা খাতুন, সাং- পূর্ব নবীপুর, ১নং ওয়ার্ড, ১নং হরনী ইউনিয়ন, থানা-হাতিয়া, জেলা-নোয়াখালী।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে তাই আমারা তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছি।