বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে দিনে দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১৪জুন বুধবার বেলা ১১ঘটিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে,প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকাল ৮টায় নার্স সুপার ভাইজার কল্পনা আক্তার বিউটিতে যান। ঘন্টা দুয়েক পর নার্স কল্পনার স্বামী মোখলেছার রহমান স্ত্রীর খাবার দিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য চেকে স্বাক্ষর নিয়ে আসে। পরে তিনি সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রেখে খাবার চাউল বদলানোর জন্য রেলগেইট সংলগ্ন জৈনক এক দোকানে যায়। চাউল বদলানোর যাওয়া আসার এ সময় টুকুর মধ্যে চোরেরা বাসায় ঢুকে টাকা,সোনা ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।
মোখলেছার রহমান বাসায় প্রবেশের সময় মেইন গেটের তালা ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময়ে তিনি দ্রুত ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখেন সংঘবদ্ধ চোরেরা ঘরের ষ্টিলের আলমারি,ওয়ার ড্রপ, টেবিলের তালা ভেঙে ফেলেছে। সে সময়ে তিনি বাসার দুইটা রুমের সব কিছু এলোমেলো অবস্থায়ও পড়ে থাকতে দেখেন।
এ সময়ে তিনি হতবাক হয়ে পড়েন এবং লক্ষ করে দেখেন চোরের দল বাসায় রক্ষিত প্রায় পৌনে দুলক্ষ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্নালংকার,১ টি এন্ডুয়েট মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে গেছে। কল্পনা আক্তার প্রতিনিধিকে বলেন, আমি সকালে ডিউটিতে যায় বেলা ১১টায় স্বামীর মুঠোফোন জানাতে পেরে ছুটে এসে দেখি আমাদের ঘরে রক্ষিত টাকা সোনা চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। পাশের বাসার নার্স স্মৃতি খাতুন বলেন,এ ঘটনায় আমরা আতংকের মধ্যে আছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ একেএম শরিফুল রেজোয়ান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এ সংক্রান্তে মামলা করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন কবিরাজ বলেন, আমাদের কোয়ার্টারে চুরির বিষয়টি ওসি সাহেব সহ উদ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা সহ নিরাপত্তার বিষয়টিও বলেছি। তবে আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি এবং শুনেছি এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন,ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের একটি দল পরিদর্শন করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।