এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছার সোলাদানা’র নারিকেল তলা গেটের খালের বিরোধের জেরধরে ছোট ভাই কর্তৃক আপন বাড় ভাইকে খুন জখমের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে পাটকেলপোতা পাউবো’র ভেঁড়ি বাঁধে দু’পক্ষের তর্ক বিতর্কের জেরে স্থানীয় আফাজ মোড়লের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী জসিম মোড়ল তার বড় ভাই রেকাত মোড়লকে খালে জাল ধরার দায়িত্ব নেওয়ায় এ হুমকি-দেয়া হয়। পরবর্তীতে জলমহালের ইজারাদার গড়ইখালী ইউপি’র পাতড়াবুনিয়া সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি হাফিজুর রহমান লোকজন নিয়ে খালটির পুর্বের দখলদার রবিউল মোড়লের মাছ ধরা জাল তুলেদেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, সায়রত ০৭/২০২৩ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাংলা-১৪৩০-১৪৩৫ মেয়াদে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গড়ইখালীর পাতড়াবুনিয়া সমবায় সমিতি লিঃ উপজেলার সোলাদানা, চারবান্ধা, বয়রাঝাপা, পশ্চিম কাইনমুখি, আমুরকাটা ও সোনামুখি মৌজার ১শত ৩ একরের ( বদ্ধ) জলমহালটির ইজারা গ্রহন করেন। নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঢোল সড়কি করে ইজারাদার সমিতিকে জলমহালের দখলনামা বুঝে দিলেও নারিকেল তলা গেটের খাল থেকে পুর্বের দখলদার স্থানীয় আফাজ মোড়লের ছেলে রবিউল মোড়ল পুর্বের ন্যায় খাল দখলে রাখে। সে কারণে ইজারাদার সমিতির সাথে বিরোধ দেখা দেয়। কিন্ত এরই মধ্যে সমিতি এ খালের মাছ ধরা বা দেখাশুনার দায়িত্ব দেন রবিউল মোড়লের আপন ভাই রেকাত মোড়লকে। খাল নিয়ে ভাই-ভাই ও সমিতি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তারা। এদিকে রবিবার সমিতির লোকেরা খাল থেকে জাল-নেট তুলে দিলেও আবারো রবিউল উক্ত খালে জাল পাতেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ মাথাচাড়া দেয়। সোমবার সকালে এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা ও হুমকি-ধমকির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে রবিউল মোড়ল জানান, সাহেব আলী গাজীর বন্দোবস্তকৃত জমি বন্ধক ও পুর্বের ইজারাদার সমিতির কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এ খালে জাল ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু এ বছরও পাতড়াবুনিয়া সমিতির সভাপতিকে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তিনি ২০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছি। তবে রবিউলের স্ত্রী এক পর্যায়ে স্বীকার করেন চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের খালে থাকতে বলেছেন। রবিউলের ভাই রেকাত মোড়ল জানান, এ বছর মিস্ত্রীরা সমিতির কাছ থেকে খাল নিতে ব্যর্থ হলে আমি হাকডাকে খাল নিয়েছি বলে ভাইদের রোষানলে পড়েছি। এ বিষয়ে পাতড়াবুনিয়া সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি হাফিজুর রহমান সরদার টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে খাল থেকে উঠতে বললেও রবিউল জোরকরে খাল দখল করছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা জাল তুলে দিতে বাধ্য হয়েছি।
এ সম্পর্কে সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, আমার কথা বলে কেউ যদি সুবিধা নিতে চায় সেটা তার ব্যাপার। কার কি কাগজপত্র আছে সেটা কোন পক্ষই দেখাননি। কিন্তু খাল নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা কারোর জন্য ঠিক হবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।