এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির নাছিরপুর এলাকার তাছলিমা বেগম নামে এক মহিলা নিজেকে মিথ্যা ভূমিহীন পরিচয়ে হরিঢালীর রহিমপুর চর কপোতাক্ষী আশ্রয়ন প্রকল্পে মুজিব বর্ষের ঘর বরাদ্দ নিয়ে কপিলমুনির কাশিমনগর আশ্রায়ন প্রকল্পে অন্যের বরাদ্দকৃত ঘরের দখল নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানানো হয় যে, উপজেলার নাছিরপুর গ্রামের আমজেদ সরদারের মেয়ে ও সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী তাছলিমা বেগম নিজেকে ভূমিহীন পরিচয় দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের রহিমপুরস্থ চর কপোতাক্ষী আশ্রয়ন প্রকল্পে মুজিববর্ষের একটি ঘর বরাদ্দ নেন। এরপর তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে রহিমপুর আশ্রয়নের ঘরে উঠলেও কিছুদিন পর এক অদৃশ্য ক্ষমতা বলে সেখান থেকে কাশিমনগরস্থ আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্যের বরাদ্দকৃত একটি ঘরে উঠে বসবাস করছেন।
সূত্র জানায়, তাছলিমা বেগম গত ২৩/০৬/২১ সালে হরিঢালীর মাহমুদকাটি মৌজায় মাহমুদকাটি গ্রামের মৃত ননীগোপাল দাশের মেয়ে ও সন্তোষ দাশের স্ত্রী প্রতিভা রানী দাশের নিকট থেকে ০.০৮৪২ একর জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং-১৯৯২/২০২১। অথচ তিনি নিজ নামে জমি ক্রয়ের বিষয়টি গোপন করে মূলত রহিমপুর আবাসনে নিজ নামে একটি ঘর বরাদ্দ নেন।
এব্যাপারে কাশিমনগর আবাসনের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, কাশিমনগর আবাসনে এর আগে ঘরটিতে উপজেলার চিনামলা গ্রামের মৃত হারান মন্ডলের স্ত্রী সুজাতা মন্ডলকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে সুজাতা সারা দিন পরের ক্ষেতে কাজ শেষে সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার অভিযোগে তাকে ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
মূলত এই সুযোগে রহিমপুর আবাসন থেকে তাছলিমা বেগমকে সেখানে সমন্বয় করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে সেখানে তুলে দিয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি। তবে তাছলিমার অন্যত্র জমি থাকার বিষয়টি শুনেছেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র জানায়, এছাড়াও একাধিক স্বচ্ছল পরিবার নিজেদের সম্পদের তথ্য গোপন করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে কাশিমনগর আবাসনে ঘর বরাদ্দ নিয়েছে। আবার অনেক পরিবার নিজের নামে ঘর বরাদ্দ নিয়ে নিকটাত্নীয়দের সেখানে তুলে দিয়েছে বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী এসব প্রতারকদের চিহ্নিতপূর্বক তাদের নামীয় ঘরের বরাদ্দ বাতিল করে সেখানে প্রকৃত ভূমিহীন, গৃহহীন অসহায় পরিবারকে বরাদ্দ দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।