সোনাতলায় হাটে উঠেছে পাট অধিক লাভে খুশিতে কৃষক
বগুড়ার সোনাতলায় বিভিন্ন এলাকায় এখন একেবারেই পাট শুকিয়ে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ফলে এলাকার কৃষকরা শুকনো পাট ওজন করে বেঁধে কেউ তুলছেন ঘরে আবার কেউবা বিক্রির জন্য স্থানীয় হাটে নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে এবার পাটের হয়েছে বাম্পার ফলন সেই সাথে উচ্চ মূল্য পেয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন এ এলাকার কৃষকরা।হাট গিয়ে দেখা গেলো, কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পাট হাটে তুলেছেন তবে পাট কিনতে আসা বেপারীরাও দাম হাঁকছেন।
এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন,এবার পাট খ্যাত চরাঞ্চল এলাকায় আঘাত হেনেছিল বর্না।তারপরও এ উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি পাট উৎপাদন করেছে কৃষকেরা।
এদিকে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে সকাল হলেই কৃষাণিরা জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পাটখড়ি গুলো রৌদ্রে বিছিয়ে দিচ্ছেন আবার মাঝে মধ্যেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তবে সন্ধ্যায় সেই পাটখড়ি গুলো ঘরে তোলায় নিয়োজিত কৃষাণিরা।
কৃষকেরা জানান,তিন মাস আগে জমি হালচাষ করে পাট বুনি। ধীরে ধীরে সেই কাঙ্খিত পাট বড় হলে কেটে পানিতে জাগ শেষে ছাল ছাড়াই তবে সেই ছালই পাটে পরিনত হয়েছে। পাকুল্যার কৃষক ইদ্রিস আলী জানান, এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। পাট এমন একটি ফসল যেখানে অল্প খরচেই ঘরে উঠে এবং পাটখড়ি জ্বালানীর চাহিদা পূরণ করে।
পাকুল্যা হাটে গিয়ে দেখা গেল প্রচুর পরিমাণে পাট উঠেছে।পাট বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাটে পাট তুলেছি বেপারী ২৬শত থেকে ৩হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাট কিনতে আসা বেপারী সাইদুর রহমান বলেন, হাটে হাটে পাট ভালোই উঠছে তবে প্রকার ভেদে ২২শত থেকে ৩হাজার টাকা মন দরে পাট কিনছি।