মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালীর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখা এগিয়ে আসছে। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা ও দুর্যোগ পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল ৩টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, সিভিল সার্জন ডা: মাসুম ইফতেখার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
এছাড়া যুব রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীসহ নোয়াখালীর সকল সরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মিটিং করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবী। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ১১১টি মেডিক্যাল টিম।
এছাড়া, রেডক্রিসেন্ট ও সিপিবির ৫ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীও দুর্যোগকালীন সময়ে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জরুরি সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
সভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানান, জেলায় ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগকালীন সহায়তার জন্য জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ফান্ডে ৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ৩৮২ মেট্রিক টন চাল ২৪৩ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে।
তবে নোয়াখালী জেলা জুড়ে প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও তেমন বাতাস নেই। মেঘনা নদীতে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখার’ কোনো প্রভাব দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি।