বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সোনাতলায় শতাধিক পরিবারের আশ্রয়স্থল এস আলম ডেইরী মিল। আলমের ডেইরী মিলে হয়েছে শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। কৃষক ও খামারীদের ক্রয়কৃত গাভীর দুধ প্রাণ ডেইরী ফুড প্রোডাক্টসে কমিশনে বিক্রি করেন আলম। আলমের মিলের গাভীর দুধ কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে গিয়ে তাদের তৈরি নানা ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্যে মিটছে সুষম খাদ্য সহ পুষ্টির ঘাটতি।
প্রতিদিন দুপুরে এস আলম ডেইরী মিলে সাইকেল অথবা আটোভ্যানে দুধ ভর্তি কনটিন নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে গাভীর দুধ মিলকে বুঝিয়ে দিতে। এমন দৃশ্য চোখে পরবে বগুড়া সোনাতলার পৌরধীন খানপাড়ায়। এস আলম ডেইরী মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ শাহ আলম পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ এলাকার গাড়ামাড়া ঘুগা গ্ৰামের আঃ গফুরের ছেলে। স্থানীয়রা জানান,পুর্বপুরুষের ন্যায় তিনিও গাভীর দুধ বেচাকেনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। তিনি গ্ৰামে গ্ৰামে ঘুরে কৃষকদের গাভী পালনে উদ্বুদ্ধ করন সহ তাদের গাভীর দুধ সংগ্রহ করেন।
আগে গাভীর দুধ কম সংগ্ৰহ হলেও এখন প্রতিদিন শতাধিক কৃষক ও খামারীদের দেওয়া ২৪’শ থেকে ২৬’শ লিটার গাভীর দুধ আসে তার মিলে। গাড়ি থেকে দুধ নামানো,দুধ মাপযোগ,দুধ গুলো বিশাল টাংকিতে ঢেলে দেওয়া এবং ফ্রিজিং শেষে রাতে কোম্পানির গাড়িতে তুলে দেওয়া সব মিলিয়ে প্রায় দের’শ মতো লোক কাজ করে তার অধীনে। শাহ আলম জানান,বংশ পরম্পরায় আমাদের গাভীর দুধের ব্যবসা।আমার দাদা গ্ৰামে ঘুরে গাভীর দুধ কিনতো। সেই দুধের তৈরি ছানা গাইবান্ধায় সহ বিভিন্ন শহরে মিষ্টির দোকানে বিক্রি করতো।
দাদা মারা গেলে বাবা একই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১২বছর পূর্বে প্রাণ কোম্পানির সাথে দুধ দেওয়ার চুক্তি করি।সে থেকে আমি সোনাতলার খানপাড়া এসে গাভীর দুধ সংগ্রহ শুরু করি। ব্যবসা প্রসারে বিভিন্ন গ্ৰামে ঘুরে কৃষকদের গাভী পালনে উৎসাহিত করি এবং হাজার খানেক দরিদ্র কৃষকদের মাঝে গাভী পালনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেছি। শাহ আলম আরো বলেন প্রন্তিক কৃষকরা গাভী পালনে হয়েছেন স্বাবলম্বী এবং তাদের পালিত গাভীর দুধ আমার মিলে দিয়ে তাদের ধারের টাকা পরিশোধ করেন সেই সাথে ভবিষ্যতে তিনি দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চান।
মিলে গাভীর দুধ দিতে আসা উপজেলার পাকুল্লা ঘোষপাড়া গ্ৰামের শ্রীসঞ্চয় চন্দ্র ঘোষ জানান,আলম ভাইয়ের পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে আমি স্বাবলম্বী। এখন আমার কুড়িটি দুগ্ধজাত গাভী ও পনেরটি মহিষ আছে তবে গাভী মহিষের দুধ আহরন করে মিলে প্রতিদিন গড়ে ১৫০লিটার বিক্রয় করি। একই এলাকার খামারী হুমায়ূন আহমেদ জানান,আমার খামারে ৭০/৮০টি গাভী আছে আমিও প্রতিদিন ২৫০লিটার দুধ দেয় এই মিলে। তবে তিনিও শাহ আলমের সহযোগিতায় স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানান।