• শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রক্ত দিন, জীবন বাঁচান: চসিক মেয়র শাহাদাত ডুমুরিয়ায় খেজুরগাছ কাটা আর গাছির অনাগ্রহে কমছে রস চট্টগ্রাম নগরীর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবু গ্রেফতার চাটখিলে সিএনজি চালকে মারধর, গাড়ি ভাংচুর-থানায় অভিযোগ খুলশী চাইল্ড গ্রামার কে.জি স্কুলের বর্নাঢ্য ক্লাস পার্টি  সম্পন্ন ডুমুরিয়ায় মহান বিজয় দিবসের বিজয় মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন আমতলীতে লামিয়া আক্তার তিন্নি হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের ডুমুরিয়ার চুকনগর বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন জগন্নাথপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময় আমতলীতে দেবরের কোদালের কোপে ভাবী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

মধুপুরে ৪ জনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

আবদুল হামিদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন বোয়ালী (পুন্ডুরা) এলাকার বৃদ্ধা মা, তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের আলোচিত ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল জব্বার মিয়া (৩৪)।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী কবীর হোসেন উজ্জল। মো. বাদল মিয়া, হাবিবুর রহমান, গেন্দি বেগম, রফিকুল ইসলাম, আজগর আলীসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী কবীর হোসেন উজ্জল জানান, আলমগীর ও জব্বার মিয়াদের সঙ্গে প্রতিবেশী কালু মিয়া শেখ ও তাঁর ভাই আজগর আলী, সামাদ মিয়াদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল দীর্ঘ দিনের।

২০০০ সালে দায়ের করা বাঁটোয়ারা মামলায় ২৩ বছর পর আলমগীর ও জুব্বারদের পক্ষে রায় দেন আদালত। পরে কালু মিয়া শেখ, তাঁর ভাই আজগর আলী ও সামাদ মিয়া মালিকানা দাবি করে ১৪৪ ধারা চেয়ে আবেদন করেন।

তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন ওই জমির ওপর। পরবর্তীতে আলমগীর ও জুব্বার মিয়া গং আদালতে আপিল করেন। যা এখনো বিচারাধীন।

বিবাদী কালু গং ১৪৪ ধারা করিয়ে আবার সেই জমিতে তাঁরাই আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে কালু মিয়া শেখ, তাঁর ভাই আজগর আলী গং জোর পূর্বক ঘর তুলতে গেলে আলমগীর বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষরা তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন। তাকে বাঁচাতে তাঁর ভাই জব্বার মিয়া, তাদের মা শাফিয়া বেগম ও তাঁর পুত্রবধূ জোৎনাকেও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন।

এ ঘটনায় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার পর পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। আহত আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মা ও পুত্রবধূকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মধুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার আইনজীবী কবীর হোসেন উজ্জল বলেন, টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক বাদল চন্দ্র দাস মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুত টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি উত্তর) তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ