• শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সেনবাগে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ধামরাইয়ে অবৈধ ভবন গুড়িয়ে দিয়ে কলেজের দুই কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করলো উপজেলা প্রশাসন সেনবাগে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চট্টগ্রামে “সাপ্তাহিক পূর্বধারা” পত্রিকার প্রকাশ উপলক্ষে পরামর্শ ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সোনাতলায় বসত বাড়িতে আগ্নীকান্ডে চার লাখ টাকার মালামাল ভস্মীভূত নোয়াখালীতে চারলক্ষ টাকাসহ ৭ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার ছাত্রী অপহরনকারী কসবা’র স্কুল শিক্ষক ইকবাল ভিকটিম ছাত্রীসহ চট্টগ্রামে র‌্যাবের হাতে আটক সোনাতলায় ৪৮ঘন্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত সেনবাগে ছাত্রদল সেক্রেটারী আহমেদ বাবু গ্রেফতার বগুড়া সোনাতলায় বিভিন্ন মামলায় ৫জনকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ

নোয়াখালী জেলা কারাগারে ঘুমের ভিতর হাজতির ২ চোখ নষ্ট করে দিল কয়েদী

News Desk
আপডেটঃ : রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩

মো: ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী জেলা কারাগারে এক হাজতির দু’চোখ নষ্ট করে দিয়েছে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদী। ভুক্তভোগী হাজতির নাম নুর হোসেন বাদল (৩২) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী হাজতির মামা নুর নবী সোহেল অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মহিন উদ্দিন মহিন (৩০) মাদকাসক্ত ছিল। গত তিন মাস আগে তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাদক সেবনের দায়ে এক মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। নারী নির্যাতন মামলায় আমার ভাগনে বাদল দুই বছর ধরে জেলে রয়েছে।ওই মামলা চলমান রয়েছে।

রোববার ভোররাতের দিকে কয়েদি মহিন কলম দিয়ে ঘুমের মধ্যে বাদলের দুটি চোখ উপড়ে ফেলতে আঘাত করে। কলমের আঘাতে একটি চোখ বের হয়ে যায় আরেক চোখের মধ্যে কলমের নিপ রয়ে যায়। সকাল ৭টার দিকে এক কয়েদি জেল থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। এরপর আমি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

নোয়াখালী জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেনি। জেলের বাহিরের শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।সকালে কারাগারে আনলক করা হয়। ওই সুযোগে কয়েদি মহিন সে হাজতি বন্দি বাদলকে ঘুমন্ত অবস্থায় কলম দিয়ে দু’চোখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। সাথে সাথে ভুক্তভোগী হাজতিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসাপাতালে রেফার্ড করে দেয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি জেলার জাবেদ আরো বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জেলকোর্ট অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী কারাগারের জেলার আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ