মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার সবচেয়ে পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী বাজার চাপরাশিরহাট। বাজারটির অর্ধেক কবিরহাট এবং বাকি অর্ধেক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এ দুই উপজেলার সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘতম বাজার চাপরাশিরহাট। সপ্তাহের প্রতি শুক্র এবং মঙ্গলবার বাজারটিতে হাট বসে। এ বাজারের মহিষের দধির ব্যাপক সুনাম রয়েছে। স্থানীয় এবং জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব দধি এখন দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুনামের সাথে রপ্তানি হচ্ছে।
এ বাজারকে ঘিরে রয়েছে একটি ডিগ্রী কলেজ, একটি ফাজিল মাদ্রাসা, একটি উচ্চ বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টার গার্ডেন। রয়েছে ক্যাডেট মাদ্রাসা সহ বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সবচেয়ে বড় কথা হলো নোয়াখালী ৫ তথা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকাও এটি!
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দুই উপজেলার মধ্যে এ বাজারের প্রবেশ মুখে এবং বাজার দিয়ে চলাচল করা এখন একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজে যাওয়া আসার সময় গর্তে পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই আহত হচ্ছে। এসব গর্তে পড়ে অসহায় দিনমজুর রিকশা চালকদের খোয়াতে হচ্ছে অনেক টাকা।
চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজার থেকে কবিরহাট যাওয়ার পথে ছয়-বাডীয়া মসজিদের আগের অংশ। মন্ডলিয়া বাজার হয়ে চাপরাশিরহাট বাজারে প্রবেশ মুখের এই অংশ, চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারের আমীর ব্যাপারীর দধির দোকান থেকে সুতা গলি বা ডাক্তার মজিবুল হক রোড়ের মুখ পর্যন্ত, চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে থেকে কাঁচা বাজারের শেষ পর্যন্ত এবং চাপরাশিরহাট মধ্য বাজার পোলের গোড়া থেকে পাটোয়ারী হাট সড়কের রাইচ মিল পর্যন্ত স্থান গুলোর অবস্থা খুবই নাজুক!
হতদরিদ্র রিকসাচালক শরীফ উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টি বাদলের দিন ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে আয় হয় ৩/৪শ টাকা। এর মধ্যে মালিকের ভাড়া দিয়ে ডাল-চাল কেনাও কষ্ট হয়ে যায়। তার মধ্যে রাস্তার যে অবস্থা তাতে সপ্তাহ যেতে না যেতেই কয়েকশ টাকার কাজ চলে আসে। তিনি দ্রুত এ রাস্তা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
চাপরাশিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, আশাকরি চাপরাশিরহাট বাজারের এ বিষয় গুলোর প্রতি সড়ক বিভাগ দ্রুত নজর দেবেন এবং এই স্থান গুলো দ্রুত সংস্কার করে সাধারণ পথচারী এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের উপযোগী করে দেবেন।