বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বর্ষা মৌসুমে পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা তবে বহু প্রতিক্ষার পর রিপোর্টটি লেখার দিন দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টি। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰাম ঘুরে দেখা গেছে মাঠ থেকে পাট কেটে স্তুপ করে রেখেছেন কৃষকেরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন গত বছরের চেয়ে এবার বৃষ্টির পরিমাণ একেবারেই কম। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে এবার পাটের ফলন তেমন একটা ভালো হয়নি। এতে করে খরচের টাকা তোলা নিয়ে কিছুটা হতাশায় আছে পাট চাষীরা। যদিও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে পাটের আবাদের উপযোগী আবহাওয়া হলো বৃষ্টি হয়ে যাওয়া মাত্রই আকাশে মেঘ সরে গিয়ে দেখা মিলবে রৌদ্রের।
এমন ধরনের তাপমাত্রা যদি কোন পাট মৌসুমে পায় কৃষক তাহলে সেই মৌসুমে পাটের ফলন ব্যপক বৃদ্ধি পায়। এদিকে রশিদপুর গ্ৰামের এক পাট চাষীর সাথে তিনি বললেন এবার আমি সহ চাচা মিলে বিঘা দুয়েক জমিতে পাট চাষ করেছি। তবে কিছু পাট পানির অভাবে এবং রৌদ্রের প্রখর তাপে শুকে নষ্ট হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি না হওয়ার কারণে ঢোবা, পুকুর,খাল,বিলে কোন রুপ পানি নাই।
তিনি আরো বলেন জমি থেকে পাট কেটে প্রায় কিলোদেরেক দুরে নিয়ে গিয়ে পাট পানিতে জাগ দিতে হচ্ছে তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখা যাচ্ছে হয়তবা বৃষ্টি নামতে পারে। এদিকে উপজেলার চরঞ্চলে বেশকিছু লোকজন জানান,গতবছরের তুলনায় এবার বৃষ্টির পরিমাণ একেবারেই কম। এ কারনেই এবারে বন্যার পরিস্থিতি নেই বললেই চলে।
তারা আরো বলেন এ সময়ে আমাদের চরাঞ্চল পানিময় হয়ে থাকে কিন্তু বৃষ্টি পানি তথা উজানী ঢল না থাকার কারণে ঠিকমত পাট জাগ দেওয়া কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, এবার আমি চরঞ্চল সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এসেছি। তবে এবার বৃষ্টির পরিমাণ একটু কম তাতে তেমন কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।