বগুড়া প্রতিনিধিঃ
প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সোনাতলায় মেইন রাস্তা থাকে দৈতাকৃতির ড্রাম ট্রাকের দখলে। ফলে ড্রাম ট্রাকের চলাচলের কারণেই প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে সোনাতলা শহর থেকে আড়িয়াঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে দুটি লোহার অস্থায়ী ব্রিজ রয়েছে। রিতিমত সেই ব্রিজের পার্শে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেই সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে ৫টনের বেশি ভারী যানবাহন এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল নিষেধ।
তথাপিও প্রসাশনকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে চলছে সেই বিশাল আকৃতির ড্রাম ট্রাক। যার ফলে যেকোনো সময়ে ব্রিজটি ভেঙ্গে ঘটতে পারে প্রানঘাতি সহ মারাত্বক ধরনের দূর্ঘটনা। রাস্তার সাথে লাগানো বাসা বাড়ির অনেকেই জানিয়েছেন,রাত হলেই বড় আকৃতির ড্রাম ট্রাকের শব্দে বাড়িঘর কাঁপতে থাকে ও হর্ন শব্দের কারণে বাচ্চাদের লেখাপড়া চরম বিঘ্নিত হচ্ছে।
সেই সাথে দিনের শেষে রাতে ঘুমানোর সময় প্রচন্ড শব্দে ঘুম একেবারেই হচ্ছেই না। তবে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, পুরা দিন পরিশ্রমের পর প্রতিটি মানুষের ঘুমের একান্ত প্রয়োজন। তবে ঘুম একেবারেই কম হলে মাথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অটোশ্রমিক মোঃ মমিন মিয়া, সেতু মিয়া জানান, গত কয়েকদিন আগেই পৌরসভার সন্নিকটে দু’পাশ দৈতাআকৃতির ড্রাম ট্রাক আসলে আমি নিরোপায় হয়ে রাস্তার নিচে গাড়ি নেমে দিয়ে আহত হয়। তবে তিনি এই ট্রাক বন্ধের দাবি করলেন।
উপজেলা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোঃ ভোলা শেখ জানান, সোনাতলা রেলগেইট থেকে মাদ্রাসা মোড় পর্যন্ত দুধারে অনেক জায়গায় মাটি না থাকার কারণে ১ফিট উচু ও নিচুতে পরিনত হয়েছে যার ফলে দু দিক থেকে ড্রাম ট্রাক এলে এ কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা । তবে তিনিও ড্রাম ট্রাক বন্ধের দাবি জানালেন। নাম লেখার না শর্তে ড্রাম ট্রাক চালক বলেন,আড়িয়াঘাট থেকে বালু নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা সরবরাহ করে থাকি। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন,এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অথবা ওভার লোডিং গাড়ি দেখতে পেলে গাড়িগুলোকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা পারভীন বলেন, আমি সোনাতলা মেইন রাস্তা দিয়ে রাতে ড্রাম ট্রাকের চলাচলের কথা শুনেছি তবে গাড়ি আটক করে আমাকে জানালে আমরা গাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্ৰহন করবো। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (বগুড়া) নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা রাস্তা করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তবে এ ধরনের বড় ট্রাক চলাচলে থানা পুলিশের দেখা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।