আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তুরস্কের দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোঠে জিতে গেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। প্রথম দফা ভোটেও তিনি এগিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন বিদেশি পরিসংখ্যান ও সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিনি আবারও তুরস্কের মসনদে আসীন হয়েছেন।
এ বিষয়ে এরদোয়ানের দল এক পার্টির মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি জনগণের দৃঢ় সমর্থন আছে।
দেশটির বিরোধী দল গুলোর গণমাধ্যম আনকা নিউজ এজন্সিও জানিয়েছে যে এরদোয়ান বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, বেসরকারি ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে এরদোয়ান ৫২.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৭৯ শতাংশ ভোট।
এখন পর্যন্ত ৯৭.১২ শতাংশ ব্যালট বাক্স খোলা হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। তুরস্কে এবার ছয় কোটি ৪১ লাখের বেশি লোক ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ ২০ হাজার তুর্কি বিদেশে থেকে ভোট দিয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে প্রায় ৪৯ লাখ লোক নতুন করে ভোটার হয়েছেন।
দেশটিতে ভোটারদের জন্য মোট এক লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫টি ব্যালট বাক্স স্থাপন করা হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাররা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং প্রধান বিরোধী দলীয় প্রার্থী কামাল কিলিকদারোগ্লুকে ভোট দেন।
তুরস্কের এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমেই এটা স্পষ্ট হয়েছে যে আট কোটি জনসংখ্যার তুরস্ককে নেতৃত্ব দেবেন এরদোয়ান। এ নির্বাচনের ফলাফল শুধু তুরস্কেই সীমাবদ্ধ নয়, মুসলিম বিশ্ব এবং ন্যাটো জোটেও এ নির্বাচনের প্রভাব পড়বে।
গত ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে থাকলেও ৫০ শতাংশ পার করতে পারেননি এরদোয়ান। এর ফলে ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পাওয়া কেমাল কিলিচদারুগ্লুর সঙ্গে চূড়ান্ত ধাপে লড়াই করতে হচ্ছে তাকে।
ভিন্নধর্মী ছয়টি বিরোধী দলের পাশাপাশি আরেকটি প্রভাব সৃষ্টিকারী দল এইচডিপির সমর্থন পেয়েছেন কেমাল কিলিচদারুগ্লু। এদিকে নিজের দল একে পার্টি ও তার জোট ছাড়াও প্রথম ধাপের নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগানের সমর্থন পেয়েছেন এরদোয়ান।