স্পোর্টস ডেস্কঃ
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে এ মৌসুমে চলছে ম্যানচেস্টার সিটির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি আছে চ্যাময়িওন্স লিগ জয়ের প্রবল সম্ভাবনা। আর ৩ জুন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বাঁধা টপকাতে পারলে এফ এ কাপও ওঠবে সিটিজেনদের হাতে। সব মিলিয়ে ট্রেবল জয়ের দ্বারপ্রান্তে আছে সিটি। সেই সাথে আকাশী নীল জার্সিতে পারফরম্যান্সের চূড়ায় অবস্থান করছেন দলটির নরওয়েজিয়ান তারকা আর্লিং হল্যান্ড। এবারই ম্যানসিটিতে যোগ দেয়া এ তারকা ইতিমধ্যে ভেঙেছেন অনেক রেকর্ড, আর তার চূড়ান্ত স্বীকৃতিও পেলেন এবার।
এ মৌসুমের শুরতে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সিটিতে যোগ দেন হলান্ড। প্রিমিয়ার লিগে এসেই রীতিমতো গোল উৎসবে মাতেন তিনি, যেন পরিণত হয়েছেন এ গোল মেশিনে। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে তিনি ভেঙেছেন অনেক রেকর্ড। সিটিজেনদের হয়ে এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৩৬ টি গোল করেছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। এতেই ভেঙেছেন প্রায় তিন দশক ধরে টিকে থাকা রেকর্ড। ইংলিশ লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ (৩৪ টি) গোলের রেকর্ড ছিল এলান শিয়ারারের। এছাড়া এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতে মিলিয়ে ৫২ টি গোল করেছেন হলান্ড।
এ মৌসুমে লিগে সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের স্বীকৃতি স্বরূপ তাই প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুটও ওঠলো হলান্ডেরই হাতে। এ পুরস্কারের দৌড়ে থাকা টটেনহাম ফুটবলার হ্যারি কেইন ৩০ গোল করে আছেন তালিকার দুইয়ে। সিটিজেনদের হয়ে তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে এ পুরস্কার অর্জন করলেন হলান্ড। আকাশী নীল জার্সিতে ২০১০-১১ মৌসুমে প্রথম গোল্ডেন বুট জয়ী হন কার্লোস তেভেজ, এরপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে সার্জিও আগুয়েরো এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
গোল্ডেন বুট জয়ের পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের ‘বর্ষসেরা ফুটবলার এবং বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলার’ এর পুরস্কারও ওঠেছে হলান্ডের হাতে। সিটির হয়ে এমন অপ্রতিরোধ্য যাত্রায় হলান্ড সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ৬ টি হ্যাটট্রিক করেছেন যার ৪ টিই প্রিমিয়ার লিগে। এছাড়াও, ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও ভেঙেছেন তিনি, ২২ গোল করে গড়েছেন নতুন মাইলফলক। আসছে ১০ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে হল্যান্ড-ডি ব্রুইনারা। আর তা জয় করতে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের এমন অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায়ই থাকবে সবাই।